|
|
|
|
ডায়াবেটিস-সচেতনতার রঙে নীল গোটা দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তাজমহলের রং আজ নীল।
নীলাভ আজ লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, অক্ষরধাম, ফতেপুর সিক্রি বা চারমিনার। নীল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও। কিন্তু কেন? আগামিকাল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া মধুমেহ রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ঠিক আগের সন্ধ্যায় আকাশের রঙে সাজানো হচ্ছে বাছাই করা একশোটি পুরাতাত্ত্বিক সৌধ ও সরকারি ভবনকে। এই সচেতনতার কাজে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)-এর সঙ্গে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
কেন নীল? সংগঠকরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ভাবে যেমন এড্সকে লাল কিংবা স্তনের ক্যানসারকে গোলাপি রঙে চিহ্নিত করা হয়, তেমনই, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এই রং নীল। তাই নানা দেশের মতো ভারতেও আজ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিকে নীল রঙে সাজানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্র বলছে, ডায়াবেটিসের প্রভাব সম্পর্কে দেশবাসীর কাছে বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই পুরাতাত্ত্বিক সৌধগুলিকে বেছে নেওয়ার ভাবনা। এতে সম্মতি দেয় ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। ঠিক হয় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত নীল আলোয় সেজে উঠবে তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট বা ইলোরা মন্দির।
বংশগত কারণ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে গোটা বিশ্বেই নবীন প্রজন্মের মধ্যে মধুমেহ দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানে ৬ কোটিরও বেশি ভারতবাসী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। একটি তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ নাগাদ বিশ্বে মধুমেহ-আক্রান্ত সর্বাধিক মানুষের ঠিকানা হবে ভারতবর্ষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে, সে সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা আট কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী দিনে মধুমেহ রোগের রাজধানীতে পরিণত হবে আমাদের দেশ। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। এখন থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।” |
|
|
|
|
|