|
|
|
|
ছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের টাকি হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকেরা আশ্রয় নেন একটি ঘরে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, সৈকত ঘোষ (২১) নামে ওই ছাত্র টাকি সরকারি কলেজে বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সামনেই ছিল তাঁর চাকরির পরীক্ষা। সে জন্য গত দু’দিন ভোরে শরীরচর্চা করছিলেন। রবিবারও বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে। কিছু ক্ষণ দৌড়নোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৈকত। মাটিতে পড়ে যান। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ভোর ৬টা নাগাদ বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে যান পাশেই টাকি হাসপাতালে। অভিযোগ, বার বার ডেকেও দেখা মেলেনি জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের। অক্সিজেন এবং স্যালাইন দিতেও দেরি হয়। পরে ইঞ্জেকশন দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি সৈকতকে।
সৈকতের পিশেমশাই বিশ্বনাথ নস্কর বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন না। তাঁকে কোয়ার্টার থেকে ডেকে আনা হয়। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই সৈকতের মুখ থেকে গ্যাঁজা বেরোতে থাকে। একটু পরেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঠিক মতো চিকিৎসার অভাবেই ছেলেটাকে মরতে হল।” সৈকতের দাদা রনি বলেন, “হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় দু’জন নার্স আছেন। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। কোয়ার্টার থেকে এক জন জুনিয়র ডাক্তারকে ডেকে আনা হয়। ভাইয়ের শিরা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন নার্সরা। সে জন্য স্যালাইন চালু করা যাচ্ছিল না। দু’হাতে তিন বারের চেষ্টায় স্যালাইন দেওয়া হয়। সময় মতো অক্সিজেনও দেওয়া হয়নি। ডাক্তার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে ভাই নেতিয়ে পড়ে।” রনির দাবি, অনেক ডাকাডাকির পরে সিনিয়র ডাক্তার তথা বিএমওএইচ সর্বজিৎ মুখোপাধ্যায় কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দেন, ডিউটি না থাকায় তিনি এখন যেতে পারবেন না। এ কথা শোনার পরে সৈকতের আত্মীয়-বন্ধুরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা জানিয়েছেন, সর্বজিৎবাবু পরে হাসপাতালে এসে জানান, মারা গিয়েছে সৈকত। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রনিবাবু। তাঁর দাবি, চিকিৎসকদের উপরেও কেউ চড়াও হয়নি। সর্বজিৎবাবু জানিয়েছেন, সৈকতকে মৃত ঘোষণা করার পরেও তিনি বেঁচে আছেন বলে দাবি করে বাড়ির লোকজন। এরপরেই এক দল লোক চড়াও হয় চিকিৎসকদের উপরে। কয়েক জন ঘরের দরজা-জানলা ভাঙচুর করে। |
|
|
|
|
|