এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উন্নয়ন নিয়ে নাগরিক কনভেনশন হল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থানার বেলাকোবায়। রবিবার বেলাকোবা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে স্থানীয় হরিমন্দির ধর্মশালায় ওই কনভেনশন হয়। এতে এলাকার ব্যবসায়ীরা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানরা ছাড়া রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেন মণ্ডল ও রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, বেলাকোবা বাণিজ্যিক এলাকা হলেও এলাকায় পুলিশের নজরদারির অভাবে চুরি-ছিনছাই-ডাকাতির ঘটনা লেগেই রয়েছে। চলছে অসামাজিক কাজকর্ম। এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এলাকায় নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনও কিছু করা হচ্ছে না। সম্প্রতি বেলাকোবায় একটি সোনার দোকানে দিনদুপরে ডাকাতির ঘটনার তিন মাসের মধ্যে ফের ওই একই দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই জন্য ওই নাগরিক কনভেনশন ডাকা হয় বলে ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলা পুলিশের কর্তারা। জেলার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত টহলদারি করছেন। ডিএসপি সেখানকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়গুলি দেখছেন। অভিযোগ ঠিক নয়।” কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেন মণ্ডল, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নারায়ণ বসাক, গণতান্ত্রিক লেখক সঙ্ঘের বেলাকোবা শাখার সম্পাদক কর্ণদেব রায়, ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রতীশ চাকি-সহ উপস্থিত অনেকেই। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বলেন, “এলাকায় ছোটখাটো চুরি-ছিনতাই লেগেই রয়েছে। সোনার দোকানে প্রথমবার ডাকাতির পরে পুলিশের কর্তারা চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে আশ্বাস দিয়েছিলেন। নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিছুই হয়নি। আতঙ্কের মধ্যে ব্যবসা করতে হচ্ছে।” এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে বেলাকোবাতে একটি থানা স্থাপনে দাবিও তুলেছেন তাঁরা। বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, “এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে সবাইকে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় করতে হবে।” এলাকার উন্নয়ন ও পরিষেবা নিয়ে তিনি চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একই মত প্রকাশ করেছেন রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেনবাবুও। |