দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর। জখম প্রায় ৩০ জন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মদন গড়াই (৫৬)। বাড়ি পুরুলিয়ার আড়শা থানার কাঁটাডি গ্রামে। রবিবার ভোরে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কে পুরুলিয়া মফস্সল থানার কংসাবতী সেতুর কাছে। এ দিন দুপুরে আর একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের রাজনগর থানা এলাকার জয়পুর গ্রামের কাছে, জয়পুর-রাজনগর রাস্তায়। জয়পুরে দুর্ঘটনায় ৩০ জন যাত্রী জখম হয়েছেন।
পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কে পুরুলিয়া মফস্সল থানার কংসাবতী সেতুর কাছে কর্মরত অবস্থায় ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে মফস্সল থানার কনস্টেবল মদনবাবুর। পুলিশ জানায়, শনিবার রাত থেকে জাতীয় সড়কে টহলদারির কাজে ছিলেন। রবিবার ভোরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে পুরুলিয়ার দিক থেকে যাওয়া একটি ট্রেলার তাঁকে ধাক্কা মারলে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ট্রেলারটি আটক করলেও চালক পলাতক।
অন্য দিকে, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানকাটার মরসুমে রাজনগর লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের প্রচুর যাত্রী জয়পুর থেকে স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে সিউড়িগামী একটি বাসে চেপেছিলেন। ভিড় ভালই ছিল। এমনকী বাসের ছাদেও প্রচুর যাত্রী ছিল। জয়পুর গ্রাম ছাড়িয়ে যেতেই চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। রাস্তার ধারে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছে একটি বাঁকে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। ওই ঘটনায় জখম যাত্রীদের প্রথমে রাজনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও পাঁচ জনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্যআধিরিক হিমাদ্রি ঘটক বলেন, “মোট ২৯ জনকে এখানে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু।” |