|
|
|
|
|
|
|
ফর্মুলা ওয়ানের গাড়ি ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে |
ভারতে ফর্মুলা ওয়ান এসে গেছে। তা-ই নিয়ে কয়েক দিন দেশ জুড়ে তুমুল শোরগোল। সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসার অঙ্কে মোটর-রেসিংয়ের এই প্রতিযোগিতাটি সম্ভবত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্পোর্টস। একটা হিসেব দেওয়া যাক। ২০০৯ সালে আই পি এল প্রায় এগারো হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, আর ফর্মুলা ওয়ান গত বছর ব্যবসা করেছে ৪৩০ কোটি ডলার, মানে কুড়ি হাজার কোটি টাকার বেশি। এই প্রতিযোগিতার জন্য সব মিলিয়ে কাজ করেন ত্রিশটি দেশের প্রায় পঞ্চাশ হাজার কর্মী। টেলিভিশনে বা এফ ওয়ান-এর মোটর-দৌড় দেখেন অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ।
মোটরগাড়ির রেস পশ্চিম দুনিয়ার নানা দেশে অনেক কাল ধরেই চলছে। গত শতাব্দীর গোড়ার দিকে ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশে বড় মাপের মোটর রেসিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতাগুলিকে একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলির আওতায় আনা হয়, যেমন অন্তত কতটা পথ গাড়ি চালাতে হবে, গাড়ির শক্তি বা চরিত্র কেমন হবে, চালকদের কী ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে, ইত্যাদি। সেই নিয়ম বা সূত্রের ভিত্তিতেই ‘ফর্মুুলা ওয়ান’ নাম। মোটর-দৌড়ের দুনিয়ায় এটিই এক নম্বর, তাই ফর্মুলা ‘ওয়ান’। |
|
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এফ আই এ-র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই প্রতিযোগিতা আসলে অনেকগুলি প্রতিযোগিতার সমাহার। উনিশটি দেশের কুড়িটি শহরে বিভিন্ন সময়ে মোটর দৌড় হয়, সবগুলির ফলাফল মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়। খেতাব পান রেসিং কার-এর চালকরা, আবার গাড়ির নির্মাতারাও। কালক্রমে গাড়ির প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে, গতি বেড়েছে, এখন ফর্মুলা ওয়ান-এ গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার অবধি পৌঁছয়। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে এশিয়ার গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে, ফর্মুলা ওয়ান-এর সংসারেও সেই অনুপাতে এশিয়ার নতুন নতুন ট্র্যাক যুক্ত হচ্ছে। ভারত সেই ধারাতেই নতুন শরিক হল। ফর্মুলা ওয়ান-এর জন্য নির্ধারিত ট্র্যাক বা দৌড়-পথে অনেকগুলি দৌড় অনুষ্ঠিত হয়, যেমন ভারতেও হল। আবার কিছু দৌড় হয় শহরের রাজপথে, নির্ধারিত এলাকায়। যেমন, সিঙ্গাপুরে। সে জন্য অবশ্য উপযুক্ত রাস্তা চাই। |
|
গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা কমিউনিস্ট পার্টির মূল সাংগঠনিক নীতি। রুশ বিপ্লবের সময় বলশেভিক পার্টির গঠনতন্ত্রে লেনিন সর্বপ্রথম এই নীতি প্রয়োগ করেন। এর অর্থ সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠের অধীন, নিম্নতর কমিটি উচ্চতর কমিটির অধীন এবং সমগ্র পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির অধীন। এই নীতি অনুযায়ী সর্বনিম্ন স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত দলের প্রতিটি কমিটিকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে, দলের নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় আলোচনা, মতান্তর ও তর্কবিতর্কের অবকাশও থাকবে (এটাই গণতন্ত্র), কিন্তু এক বার নীতি বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেলে সব সদস্য তা পালনে বাধ্য থাকবে (এটা কেন্দ্রিকতা)। লেনিন নিজে এ কথা বললেও ১৯১৭ সালের বলশেভিক অভ্যুত্থানের সিদ্ধান্তটি ছিল তাঁর একার। দলের সর্বোচ্চ সংস্থা পলিটব্যুরোর অন্য সকলেরই মত ছিল, এখনও সময় পরিপক্ব হয়নি। ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়ে লেনিন দলকে তাঁর সিদ্ধান্ত শিরোধার্য করতে বাধ্য করেন। জয়ী হয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নয়, কেন্দ্রিকতাই। তাঁর মৃত্যুর পরে জোসেফ স্তালিনের আমলে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত করে সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত, এমনকী অভিপ্রায়কেই কমিউনিস্ট পার্টি তথা তার শাসিত জনগণের নিয়তি করে তোলে। ভারত সহ দেশে দেশে কমিউনিস্ট পার্টিগুলিও স্তালিনের দেখানো পথই অনুসরণ করে। এই বন্দোবস্তে নিচু তলার প্রতিটি কমিটিতে কারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, উচ্চতর কমিটি তা আগাম নিরূপণ করে দেয়। পলিটব্যুরো থেকে স্থানীয় কমিটি অবধি সেই কেন্দ্রিকতাই চালু থাকে। |
|
টেলিকম কেলেঙ্কারি ও অন্যান্য নানা মামলায় অভিযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাগরিকের ‘বেল’ বা জামিন না পাওয়া নিয়ে ইদানীং অনেক কথা উঠেছে। জামিন আধুনিক বিচারব্যবস্থার একটি অঙ্গ। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ অব্দেও গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তাঁর গুরু সক্রাতেস-এর মুক্তির জন্য জামিনের ব্যবস্থা করতে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন বলে জানা যায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা সম্পত্তি আদালতে গচ্ছিত রাখার বিনিময়ে এবং বিচারের সময় আদালতে হাজিরা দেওয়ার শর্তে বিচারপতিরা অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে পারেন। এই গচ্ছিত অর্থ বা সম্পদকেই জামিন বলা হয়। আধুনিক জামিন-ব্যবস্থার উৎপত্তি মধ্যযুগের ইংল্যান্ডে, যখন বিচারের অপেক্ষায় দীর্ঘ কাল গাদাগাদি করে জেলের কুঠরিতে বন্দি থাকার প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতিরা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তি দিতে মনস্থ করেন। ১২১৫ সালে ‘ম্যাগনা কার্টা’ নামক দাবি-সনদ নাগরিকদের জামিন পাওয়ার অধিকারে মুখর হয়, ১২৭৫ সালে জামিনযোগ্য এবং জামিন-অযোগ্য এই দুই ধরনের অপরাধ শনাক্ত হয়। ভারতীয় বিচারব্যবস্থা যেহেতু ব্রিটিশ মডেলই অনুসরণ করে, তাই এখানেও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করা ও না-করার বিধান আছে। অভিযুক্তকে মুক্তি দিলে সে যথাসময়ে বিচারের জন্য হাজির না হতে পারে, নতুন করে অপরাধ সংঘটিত করতে পারে কিংবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই সচরাচর বিচারকরা জামিন না-মঞ্জুর করেন। তবে ভারতের মতো গরিব দেশে অধিকাংশ অভিযুক্তের জামিনের অর্থ জমা দেওয়ার সঙ্গতি না-থাকায় জেলখানাগুলি বিচারাধীন বন্দির ভিড়ে উপচে পড়ে। |
|
ইংল্যান্ডের আদালতে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের শাস্তি হল। তারা ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত ছিল। খেলার ফলাফল নিয়ে বাজি ধরা হয়। সেই বাজিতে কিছু অন্যায় সুবিধা পাওয়ার জন্য এই গড়াপেটা। অন্যায়ের কথা এখানে বাদ থাক, বাজি ধরার কথা বলি। বহু দেশে খেলার ফলাফল নিয়ে বাজি ধরা আইনসঙ্গত। শুধু ক্রিকেটের উদাহরণ দিলে বলা যায়, খেলায় কী ফল হবে, কোন খেলোয়াড় কত রান করবে, ক’টা উইকেট পাবে, তৃতীয় উইকেটের পার্টনারশিপে কত রান উঠবে সব কিছু নিয়েই বাজি ধরা সম্ভব। পুরোটাই ‘প্রবাবিলিটি থিয়োরি’ বা ‘সম্ভাবনাতত্ত্ব’ নামমে সংখ্যাতত্ত্বের একটি বিশেষ শাখার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা চলে। একটা তাসের প্যাকেটের কথা ভাবো। চার ধরনের আলাদা চিহ্নের তাস, প্রত্যেক চিহ্নের তাস ১৩টা প্যাকেটে মোট ৫২টা তাস। সেই প্যাকেট থেকে একটা তাস টানলে তার হরতনের টেক্কা হওয়ার সম্ভাবনা হল ১/৫২, কারণ ৫২টা তাসের মধ্যে হরতনের টেক্কা মাত্র একটা। কিন্তু, একটা তাস টানলে সেটা হরতন হবে, সেই সম্ভাবনা ১৩/৫২, কারণ হরতনের তাসের সংখ্যা ১৩। কোনও ঘটনা ঘটবে কি না, তা তার আগের ঘটনার ওপর নির্ভর করে। ধরো, প্রথমে যে হরতনের তাসটা টানলে, সেটা যদি হরতন হয়, আর সেটা যদি প্যাকে ফেরত না দাও, পরের তাসটা টানলে সেটা হরতনের হবে, তার সম্ভাবনা ১২/৫১। আর, ফেরত দিলে, দ্বিতীয় বারও হরতনের তাস টানার সম্ভাবনা ১৩/৫২। কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ০ থেকে ১-এর মধ্যে থাকে। শূন্য কখন হবে? ধরো, প্রথম বার হরতনের টেক্কা টেনে নেওয়ার পর সেটা প্যাকে ফেরত না দিয়েই যদি দ্বিতীয় তাস টানো, তবে এই তাসটা হরতনের টেক্কা হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। কারণ, প্যাকে তাসটাই নেই!
সম্ভাবনার হিসেব আমাদের অনেক সময় গুলিয়ে যায়। ধরো, একটা কয়েন টস করা হবে। হেড বা টেল, দুটোর একটা পড়তে পারে। কয়েনে যদি কোনও ত্রুটি না থাকে (পরিভাষায় যাকে বলে আনবায়াসড কয়েন), তবে হেড এবং টেল, দুটো পড়ার সম্ভাবনাই সমান, ১/২। ধরো, পর পর টস করা হচ্ছে। প্রথম পাঁচটা টসেই হেড পড়ল। ছ’বারের বার আমরা ধরেই নিই, এ বার নিশ্চয়ই টেল পড়বে। এই ধরে নেওয়াটা ভুল। কারণ, আগের টসের ফল পরের টসের ওপর প্রভাব ফেলে না। ষষ্ঠ বারেও হেড পড়ার সম্ভাবনা আর টেল পড়ার সম্ভাবনা সমান। একে বলে ইনডিপেন্ডেন্ট ইভেন্ট। আবারও টস হারলে ধোনিকে আর দোষ দিও না! |
|
|
পৃখিবীর জনসংখ্যা বেড়ে সাতশো কোটিতে পৌঁছিয়ে গেল। পৃথিবীর ছশো কোটিতম শিশুটির বয়স এখন ২১ বছর কয়েক সপ্তাহ। অর্থাৎ, গত ২১ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবার জনসংখ্যা এক হাজার কোটিতে পৌঁছোবে। এত মানুষের খাবারদাবার পাওয়া যাবে কি না ভেবে ভয় করছে? অষ্টদশ-ঊনবিংশ শতকের ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক টমাস রবার্ট ম্যালথাসও এই ভয় পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত না হলে তা বাড়বে গুণোত্তর প্রগতিতে (মানে, ১, ২, ৪, ৮, ১৬... এই ভাবে) আর খাদ্যের জোগান বাড়বে সমান্তর প্রগতিতে (১, ২, ৩, ৪...)। ফলে, আজ অথবা কাল, দুর্ভিক্ষ অবধারিত। তাঁর এই ভবিষ্যৎবাণী কতটা ঠিক, সে বিষয়ে অবশ্য সংশয় আছে। ওপরের রেখাচিত্রে দেখো, ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সময় থেকেই পৃথিবীর জনসংখ্যা বেশ জোর গতিতে বাড়তে আরম্ভ করেছে। খাবারের জোগানও কিন্তু বেড়েছে। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার মতো দুর্ভিক্ষ এখনও হয়নি। তবে, হবে না, জোর দিয়ে বলা মুশকিল। বিশেষত, এখন গোটা দুনিয়া জুড়েই খাদ্যপণ্যের যে পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি চলছে, তাতে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেই বিশেষজ্ঞদের একটি মহলের আশঙ্কা। |
|
ম্যাচ গড়াপেটার শাস্তি |
২০১০ সালের অগস্ট মাসে লর্ডস-এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে টাকা নিয়ে গড়াপেটার অভিযোগে লন্ডনের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন পাকিস্তান দলের তৎকালীন অধিনায়ক সলমন বাট এবং পেস বোলার মহম্মদ আসিফ। যথাক্রমে আড়াই বছর এবং এক বছরের কারাদণ্ড হল তাঁদের, তৎসহ বড় অঙ্কের জরিমানাও। শাস্তি পেলেন অন্য এক পেস বোলার মহম্মদ আমেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে কারাদণ্ড এই প্রথম।
|
জনসংখ্যা ৭০০ কোটি |
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ৩১ অক্টোবর পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটি অতিক্রম করেছে। এবং সম্ভবত, সাতশো কোটিতম মানুষটি জন্মেছে ভারতে।
|
প্যালেস্তাইনের স্বীকৃতি |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্যালেস্তাইকে পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউনেস্কো।
|
ভূপেন হাজারিকা প্রয়াত |
মুম্বইয়ের হাসপাতালে ৫ অক্টোবর বিদায় নিলেন বিশিষ্ট সুরকার ও গায়ক ভূপেন হাজারিকা (৮৫)। অসমের এই শিল্পী বহু জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা।
|
পাশ-ফেল নেই |
পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দিল রাজ্য সরকার। লটারিতে ভর্তিও আর নয়।
|
ভারতে ফর্মুলা ওয়ান |
গ্রেটার নয়ডার বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল সার্কিট-এ ভারতের প্রথম ফর্মুলা ওয়ান মোটর দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন জার্মানির সেবাস্টিয়ান ভেট্টেল।
|
• সিম কার্ড পিছু দৈনিক ১০০টির বদলে ২০০টি পর্যন্ত এস এম এস করা যাবে নতুন নিয়ম অনুমোদন করল ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ট্রাই’।
|
• লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিলেন হেভিওয়েট বক্সিংয়ের ভূতপূর্ব বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জো ফ্রেজিয়ার (৬৭)। |
|
|
|
|
|