|
|
|
|
|
|
|
দেশ রক্ষার কাজে নিযুক্ত হতে |
হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, পরনে সৈনিকের পোশাক, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সজাগ, সতর্ক অনেকেই ছোটবেলা থেকে এই ছবির স্বপ্ন দেখে, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেবার পরিকল্পনা করে। এই স্বপ্ন সার্থক করতে চাইলে প্রথম কাজ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ‘এনডিএ অ্যান্ড এনএ’ পরীক্ষায় সফল হয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি পুণেতে ভর্তি হওয়া। বছরে দু’বার এই পরীক্ষাটি হয় এপ্রিলে এবং সেপ্টেম্বরে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাঠামো অনুসারে এন ডি এ-র তিনটি শাখা স্থল, বায়ু এবং নৌ। পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করার সময় প্রার্থীকে তাঁর পছন্দের শাখা জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়, তবে কোন শাখায় সুযোগ পাবেন, সেটা পরীক্ষার ফলাফলের উপরেও নির্ভর করে।
পরীক্ষার ধাপ দু’টি: ১) লিখিত পরীক্ষা: থাকে অঙ্ক এবং জেনারেল এবিলিট। ২) ইন্টারভিউ ও পার্সোনালিটি টেস্ট। পার্সোনালিটি টেস্টে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রার্থীর মানসিক সক্ষমতা বিচার করতে বিভিন্ন সাইকলজিকাল টেস্টও নেওয়া হয়। এর পর শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য মেডিক্যাল টেস্টও দিতে হয়। অবেশেষে সফল পরীক্ষার্থীরা এন ডি এ’তে তিন বছরের ট্রেনিং-এর যোগ্যতা লাভ করে। এনডিএ এবং এনএ ছাড়া ইউপিএসসি-র কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমেও ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়া যায়। বিশদ জানতে দেখতে হবে http://www.upsc.gov.in/, http://indianarmy.nic.in/ ওয়েবসাইটগুলি।
• উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করে এই পরীক্ষা দেওয়া যায়।
• প্রার্থীর বয়স সাড়ে ষোলো থেকে উনিশ বছরের মধ্যে হওয়া চাই।
• পার্মানেন্ট কমিশন ছাড়াও ছেলেমেয়েরা শর্ট সার্ভিস কমিশনেও যোগ দিতে পারে। এই পরিষেবার মেয়াদ কমপক্ষে ১০ বছর।
|
|
ফোকাস
মহম্মদ বদিউর রহমান
শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আগামী বছর এনআইএফটি (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজি) বা এনআইডি (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন)-তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। কী বিষয়ে পড়তে পারি? প্রবেশিকা পরীক্ষার কবে হয়? কোর্সের সময়সীমা কী?
অনুরিমা দাস, শিবপুর
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার জন্য প্রধান দু’টি প্রতিষ্ঠান হল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজি। দু’টিই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আমদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন (এম আই ডি)-এ ৪ বছরের পাঠক্রম করা যায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, কমিউনিকেশন ডিজাইন, টেক্সটাইল, অ্যাপারেল অ্যান্ড লাইফস্টাইল ডিজাইন-এর ওপর। জানুয়ারি নাগাদ এর ভর্তির পরীক্ষা হয়। আসন সংখ্যা আনুমানিক ১০০টি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানে স্নাতকদের জন্য ২ থেকে আড়াই বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম ইন ডিজাইন (পিজিডিপিজি)-এর কোর্স রয়েছে। আসন সংখ্যা আনুমানিক ২৪৫টি। সমস্ত তথ্য জানা যাবে http://www.nid.edu/ ওয়েবসাইটে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজি (এন আই এফ টি)-র কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, গাঁধীনগর-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে শাখা আছে। ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা দিতে হয় যেটি হয় ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ। এন আই এফ টি-র কলকাতার শাখাটি রয়েছে সল্টলেকে। দূরভাষ: ২৩৩৫-৮৮৭২/ ২৮৯০। ওয়েবসাইট: www.nift.ac.in। এখানে স্নাতক স্তরে নিটওয়্যার ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন, লেদার ডিজাইন ও অ্যাপারেল প্রোডাকশন-এর ওপর পাঠক্রম রয়েছে। এ ছাড়া, ফ্যাশন ম্যানেজমেন্ট-এ ২ বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সও করানো হয়।
স্নাতকস্তরে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে এম ই বা এম টেক করতে চাই। কোথায় পড়ানো হয়? ভর্তির শর্ত কী?
কৌস্তভ সেনগুপ্ত, ইছাপুর
পশ্চিমবঙ্গে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম টেক পড়ানো হয় রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও খড়্গপুর আই আই টি-তে। রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে ২ বছরের এম টেক কোর্সে গেট পরীক্ষা উত্তীর্ণ হলে অগ্রাধিকার থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এই বিষয়ে ৩ বছরের দু’টি সান্ধ্যকালীন এম ই কোর্স আছে। এ ছাড়া দিনের বেলা ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এও এম ই কোর্স আছে। সান্ধ্য কোর্সে ‘গেট’ জরুরি না হলেও দিনের কোর্সে নন-‘গেট’দের সুযোগ নেই বললেই চলে। ধানবাদের স্কুল অব মাইনস-এ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম টেক করা যায়। এখানেও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। নন-‘গেট’ প্রার্থী হলে স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি-র অধীনে জে আই এস কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেক, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, ড. বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দুর্গাপুর ইত্যাদিতে এম টেক পড়ানো হয়। বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি শিবপুরে ইলেকট্রনিক্সে এম ই কোর্সে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ‘গেট’ পরীক্ষার নম্বর। মার্চ মাস নাগাদ খোঁজ নিতে হবে।
স্নাতক দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত। স্নাতকস্তরে আরবি নিয়ে পড়তে চাই। রাজ্যে কোথায় পড়ানো হয়? এর পর চাকরির সুযোগ কেমন?
লায়লা দাস, পার্ক সার্কাস
পশ্চিমবঙ্গে স্নাতকস্তরে আরবি ভাষা পড়তে হলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অবশ্যই আরবি থাকতে হবে। কলকাতায় মৌলানা আজাদ কলেজ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ((ডি এন ৪১ এবং ডি এন ৪৭, সেক্টর ৫ সল্টলেক সিটি), আল আমিন মাইনরিটি কলেজ বারুইপুর-এ অনার্স পড়ানো হয়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সালার, জঙ্গিপুর, পাঁচঠুপি, ফরাক্কা, দেবগ্রাম ইত্যাদি কলেজে জেনারেল কোর্সে আরবি পড়ানো হয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বহরমপুর, সাগরদিঘি কলেজ আরবি পড়ানো হয়। এ ছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহীতোষ নন্দী জাঙ্গিপাড়া, হুমায়ুন কবীর মহাবিদ্যালয় মিনাখা, সুকান্ত মহাবিদ্যালয় ইত্যাদিতে ছাত্রছাত্রীরা আরবি পড়তে পারে। অনার্স পড়ে শিক্ষকতা করা যায়। আর স্নাতকোত্তর পাশ করলে অধ্যাপনা, গবেষণা ছাড়াও অনুবাদক হিসেবে কাজ করা যায়। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|