মালয়েশিয়া ১ (সফিক)
ভারত ১ (নবি) |
কোচ হিসাবে স্যাভিও মেডেইরার অভিষেক লগ্ন অনুজ্জ্বল হতে দিলেন না রহিম নবি। খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে অ্যান্টনি পেরিরার কর্নার কিকে হেড করে ভারতের হার বাঁচালেন পান্ডুয়ার ছেলে। এ বার মোহনবাগানের হয়ে খেলতে নেমেও এরকম গোল করেছেন নবি।
গুয়াহাটিতে বহুদিন পর ভারতীয় দল আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ম্যাচ খেলছে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। ফলে রবিবার মাঠে উপচে পড়েছিল। মহেশ, নবি, ক্লাইম্যাক্সদের উদ্বুদ্ধ করতে কোনও আয়োজনেরও অভাব ছিল না। কিন্তু তীব্র
চিৎকারের মধ্যেই প্রথমার্ধের শেষ দিকে মালয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন রহিম সফিক। মহেশ গাউলিকে বক্সের মধ্যে ড্রিবল করে কোণাকুণি শটে গোল করে যান রফিক। এরপরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় মালয়েশিয়া। কিন্তু ভারতীয় দলের গোলকিপার করণজিৎ সিংহের তৎপরতায় গোল হয়নি। তাদের একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিলও হয়। ভারতও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। সুনীল ছেত্রী, মেহরাজউদ্দিন, স্টিভেন ডায়সরা তা কাজে লাগাতে পারেনি।
মহেশ গাউলিকে অধিনায়ক করে দিয়েছিলেন সকালের টিম মিটিংয়ে। দল বাছার ক্ষেত্রে আই লিগে পারফরম্যান্স যাদের ভাল তাদের বেছেছিলেন স্যাভিও। সমীর নায়েক, স্টিভন ডায়াস এবং মহেশ গাউলিরা প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেননি। মহেশ একটি বল নিজেদের গোল লাইন থেকে ফেরালেও গোলের সময় নড়ে যান। ১৬ নভেম্বর কলকাতায় মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের। ওই ম্যাচের প্রস্তুতি করার কথা ভেবেই হয়তো চারজন ফুটবলার বদলও করেন ভারতীয় কোচ। ফলও হাতে নাত পান তিনি। সেট পিসে দক্ষ স্টিভেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সেজন্য তিনি বদলি হিসাবে নামিয়ে দেন অ্যান্টনি পেরিরাকে। তাঁর মাপা কর্নারেই গোলটি আসে।
ভারত: করণজিৎ, নবি, মহেশ, গৌরমাঙ্গি, সমীর, ক্লাইম্যাক্স (মেহরাজ), স্টিফেন (অ্যান্টনি), জুয়েল রাজা, ক্লিফোর্ড, সুনীল (সুশীল) ও জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস (জেজে)। |