বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল নালিকুলের শিমূলতলা কনজার্ভেশনিস্টের তৃতীয় বর্ষ বন্যপ্রাণ দিবস। শনি ও রবিবার নালিকুলের একটি ধর্মশালায় ওই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরির মাধ্যমে। এলাকায় বৃক্ষরোপণ করা হয়। ছিল প্রকৃতি, পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, একই বিষয়ের উপর মডেল প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ ছাড়াও, ছিল পরিবেশ ও বন্যপ্রাণের বিষয়ে বসে আঁকো এবং ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা তাতে যোগ দেয়। বিকেলে বন্যপ্রাণ ও তার সংরক্ষণ নিয়ে তথ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। সমাজে কুসংস্কারের প্রভাব ও তার প্রতিকার নিয়েও আলোচনা হয়। ছিল ইন্দ্রজাল প্রদর্শনীও। |
দ্বিতীয় দিন আলোচনায় যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ছিল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারীদের বিশেষ উপস্থাপনা। সাপ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য এবং সাপুড়েদের বিকল্প পেশার ভাবনা নিয়েও আলোকপাত করেন উদ্যোক্তারা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে হাতেকলমে আলোচনা করেন সাপুড়েরা। প্রথম দিনও সর্প এবং সর্প-দংশন সংক্রান্ত সচেতনতা শিবির ও আলোচনাচক্র হয়। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার শিল্প ‘পুতুল-নাটিকা’ পরিবেশন করেন সাপুড়ে কাজল মাল। বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেন চিকিৎসক, বনবিভাগের আধিকারিক এবং জীববিদ্যার শিক্ষকেরা। প্রকাশিত হয় সংগঠনের বাৎসরিক পত্রিকা ‘সবুজ ফিরে এসো’। রবিবার সন্ধায় উৎসবের সমাপ্তি পর্বে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তো বটেই আশপাশের নানা জায়গা থেকে মানুষ উপস্থিত ছিলেন। |