ধান পাকতেই হাতির উৎপাতে নাজেহাল গ্রামবাসী-সহ বনকর্মীরা। ডুয়ার্সের সোনাখালি জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া ৩৫ টি হাতি সন্ধ্যা নামার পরেই কয়েকটি ভাগে চা বাগান-সহ গ্রামে হানা দিচ্ছে। ১৫ দিন ধরে বুনো হাতির অত্যাচারে মাথায় হাত কৃষকদের। হাতি তাড়াতে গিয়ে বনকর্মীরাও ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। বিন্নাগুড়ি এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার সুভাষ বসু বলেন, “সন্ধ্যা নামতে ৯ জন কর্মী মিলে হাতি তাড়াচ্ছি। এক জায়গায় হাতি থাকলে সমস্যা হত না। তারা যে ভাবে এক সঙ্গে ২-৩ জায়গায় হানা দিচ্ছে তাতে সমস্যা হচ্ছে। একটু দেরি হলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। গত ১০ দিন ধরে বানারহাট থানার ১২টি বাগানে বুনো হাতির পাল হানা দিয়ে শ্রমিক বস্তি থেকে চাল, লবণ খেয়ে বাগানের চা গাছের ক্ষতি করছে। পাশাপাশি গয়েরকাটা সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে ধান খেতে হানা দিয়ে ধান সাবাড় করছে। একটি দলছুট দাঁতালও তাণ্ডব চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি ফেরার পথে এক গ্রামবাসীকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছাড় দেয় ওই হাতিটি। গুরুতর জখম ওই বাসিন্দাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বন কর্মীদের সংখ্যা কম থাকায় পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার অর্গানাইজেশনের ১৫ জন সদস্য রাতে পালা করে হাতি তাড়ানোর কাজ করছেন। সংগঠনের পক্ষে শুভাশিস ঘোষ বলেন, “মাত্র ৯ জন বনকর্মী ও ১টি মাত্র গাড়ি রয়েছে এলিফ্যান্ট স্কোয়াডে। বনকর্তাদের কর্মী সংখ্যা বাড়াবার জন্য বলা হয়েছে। কর্মী না থাকায় তাদের সঙ্গে রাত জেগে হাতি তাড়াচ্ছি।” স্কোয়াডের সংখ্যা বর্তমানে ৯টি থেকে ১৬টি করার জন্য সরকারের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানান উত্তরবঙ্গের প্রধান বনপাল রবীন্দ্র কৃষ্ণমূর্তি। গ্রামবাসীকে ধান চাষের বদলে আদা, হলুদ চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। |