মারধরের জেরে গরহাজির কর্মী, সমস্যায় পঞ্চায়েত
য়েকজন গ্রামবাসীর হাতে মার খেয়ে জগৎবল্লভপুর ১ পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা কার্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতটিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা চলছে।
জন্মের শংসাপত্র নেওয়ার ফি জমাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েতের কর্মচারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিবাদ বাধে।
তারই জেরে দু’জন পঞ্চায়েত কর্মচারীকে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মারধরের ঘটনাটি ঘটে গত ৪ নভেম্বর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন শিবরামপুর গ্রামের একজন বাসিন্দা ৪ নভেম্বর পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসেন তাঁর ছেলের জন্মের শংসাপত্র নেওয়ার জন্য। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শংসাপত্র নিতে হলে ৫০ টাকা ফি জমা করতে হবে।
আগে এ জন্য এখানে কোনও টাকা নেওয়া হত না। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়, পুজোর পর থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। ওই গ্রামবাসী জানান, যেহেতু তিনি পুজোর আগে শংসাপত্র নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাই তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। অন্য দিকে, পঞ্চায়েতের সহায়ক তাঁকে জানিয়ে দেন, তিনি পুজোর আগে আবেদন করলেও যেহেতু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই ৫০ টাকা জমা দিয়েই তাঁকে শংসাপত্র নিতে হবে। সহায়কের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। ৫০ টাকা জমা দিয়েই তিনি শংসাপত্র নেন।
অভিযোগ, এর পরে কিছু গ্রামবাসী এসে অরূপকুমার দাস নামে ওই সহায়ককে মারধর করেন। পঞ্চায়েতের সচিব গৌতম বসু বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারা হয়। এমনকী, প্রধান বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে থানায় দু’জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। ঘটনার পর দিন থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা।
প্রধান এবং পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা একযোগে বিষয়টি জানান বিডিও, হাওড়া সদরের মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসককে। কর্মচারীদের বক্তব্য, অভিযুক্তেরা ধরা না-পড়ায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। অভিযুক্তরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের আশেপাশে এসে হুমকি দিচ্ছে। তার ফলেই তাঁরা কার্যালয়ে যেতে পারছেন না।
বিডিও সলমন হুসনি বলেন, “প্রধান এবং পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি পুলিশকে বলেছি দ্রুত অভিযুক্তদের ধরার জন্য। প্রধানকেও বলেছি কার্যালয় খুলে রাখুন। কর্মচারীদের আসতে বলুন। অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন”
বিডিওর পরামর্শ মোতাবেক প্রধান অবশ্য গত শুক্রবার মাত্র দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে নিয়ে কার্যালয় কিছু ক্ষণের জন্য খুলেছিলেন। কিন্তু বাকি কর্মচারীরা না-আসায় কোনও কাজ হয়নি।
প্রধান সিপিএমের গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের বাড়িতে একাধিকবার হানা দেওয়া হলেও ধরা যায়নি। তল্লাশি চলছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.