এক আলফা নেতাকে জেরা করে, ফের শহর থেকে ধরা পড়ল কট্টর আলফা সদস্য। জানা গেল, পরেশ বরুয়ার নির্দেশে গুয়াহাটিতে নাশকতা চালাতে হাজির আলফার একটি দল। গত তিন দিনে শহর থেকে দুই আলফা জঙ্গির ধরা পড়া, একটি বিস্ফোরণ ও টিংখং থেকে টিএনটি উদ্ধার হওয়ার পরে পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে।
সম্প্রতি আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া হুমকি দিয়েছেন, সরকারি নেতা, পুলিশ, দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা ও অফিসার, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র আক্রমণ চালানো হবে। ১ নভেম্বর পরেশপন্থীদের তরফে এক ই-মেল বিবৃতিতে জানানো হয়, যে কোনও সময় ভারত সরকারের এই প্রতিনিধিদের উপরে এবং নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে হামলা করা হতে পারে। সাধারণ নাগরিকদের জন্য তাদের সতর্কবাণী: প্রাণে বাঁচতে হলে সেনা-পুলিশ ছাউনি এবং মন্ত্রী-আমলাদের কাছাকাছি থাকবেন না। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ পরেশের হুমকিকে প্রকাশ্যে উড়িয়ে দিলেও, সরকারি সূত্রে খবর: এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে বিধানসভার তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। বিধানসভার তরফে মন্ত্রী, বিধায়ক ও পুলিশকর্তাদের সতর্ক করে নির্দেশনামাও জারি করা হয়েছে। নতুন ও পুরনো বিধায়ক আবাসে বহিরাগতদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিধানসভায় প্রবেশের জন্য কোনও নতুন পরিচয়পত্র, প্রবেশপত্র, গাড়ির পাস দেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের দেহরক্ষী না নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করতেও মানা করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই গুয়াহাটি থেকে ধরা পড়ে আলফার স্বঘোষিত কর্পোরাল পঙ্কজ গগৈ ওরফে লক্ষ্মী ওরফে ভিকি।
পঙ্কজকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনসুকিয়ার সালফা নেতা তিলেশ্বর লোহানকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল সে। ২০০৬ সালে আলফায় যোগ দেওয়া পঙ্কজ ২০০৮ সালে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু ২০১০ সালে সে ফের আলফায় ফেরত যায়। বর্তমানে বাবুল গগৈয়ের হয়ে কাজ করছিল পঙ্কজ। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হাজতে থাকা পঙ্কজকে নিয়ে গত রাতে শহরে অভিযানে বেরোয় পুলিশ। তখনই চাঁদমারি থেকে রাজীব চৌধুরী নামে অপর এক আলফা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, রাজীব অটো চালকের ছদ্মবেশে শহরে ঘাঁটি গেড়েছিল। পঙ্কজ যে এলাকার বাসিন্দা সেই টিংখং থেকে ১১ নভেম্বর উদ্ধার হয়েছে প্রচুর টিএনটি। একই দিনে গুয়াহাটির নুনমাটিতে একটি বিস্ফোরণও ঘটে। পুলিশের আশঙ্কা, সব মিলিয়ে প্রমাণ হয়, পরেশবাহিনী উজানি অসম থেকে গুয়াহাটি পৌঁছে নাশকতার জন্য তৈরি হচ্ছে। |