নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
হায়দরাবাদের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল রামপুরহাট থানার পুলিশ। রবিবার সকালে এ বি রামানাকুমার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাবা এ রাধাকৃষ্ণ মূর্তি রামপুরহাট থানায় আসেন। বিকেলে তিনি ছেলেকে ফিরে পান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর রাত ৮টা নাগাদ রামপুরহাট স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় পাঁচমাথা মোড় সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে কয়েক জন মারধর করছে বলে থানায় খবর আসে। পুলিশ গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে যুবকটি নিজের নাম ও ঠিকানা জানান। কিন্তু কী ভাবে যে তিনি রামপুরহাটে পৌঁছলেন, তার জবাবে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন রামানাকুমার। শেষে তাঁর কাছে থাকা ডায়েরি থেকে কয়েকটি নম্বরে ফোন করলে প্রথমে তাঁর বাবার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়। যুবকের স্ত্রীর সঙ্গেও পুলিশ কথা বলে।
রামপুরহাট থানার আইসি অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যুবকটির স্ত্রী আমাদের জানান, তাঁর স্বামী মাঝেমধ্যে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় মানুষের সাহায্যে আমরা ওই ইঞ্জিনিয়ারকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি। তাঁর বাবাকে এখানে আসতে বলা হয়। সেই মতো যুবকটির বাবা এ দিন থানায় আসেন। পরিচয় সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়ার পরে ওই যুবককে তাঁর বাবার সঙ্গে বাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”
ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এ রাধাকৃষ্ণ মূর্তি অন্ধ্রপ্রদেশের খান্নাম জেলার পলয়োঞ্চা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর কথায়, “এ অবস্থায় ছেলেকে ফিরে পাব আশা করিনি। পুলিশ ভূমিকায় আমরা খুশি।” ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও (রামপুরহাট) প্রদীপকুমার বসু বলেন, “ওই যুবকের কাছে ৯ হাজার টাকা ছিল। তাঁর বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে অনেকে হারিয়ে যায়। তবে রামপুরহাট থানার আইসি যে ভাবে উদ্যোগী হয়ে তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে খুব ভাল কাজ করেছেন।” |