নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
কাজ মিলছে না। দীর্ঘ দিন কোনও রোজগার না থাকায় সংসারে অনটন। কী ভাবে সমস্যা মিটবে তা-ও অজানা। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) প্রায় পাঁচশো ঠিকাশ্রমিকের এমনই অভিযোগ। তাই রবিবার সকালে তাঁরা পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন দুর্গাপুর হাউসের সামনে। উদ্দেশ্য, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ। যদিও ভিড়ের চাপে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
ওই ঠিকাশ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারেরা কারখানার কোনও কাজের বরাত পেলে সরাসরি কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিকা শ্রমিক সরবরাহের কাজ করে। বিভিন্ন কর্মী সংগঠনগুলির মধ্যে এ নিয়ে অলিখিত চুক্তিও রয়েছে। সেই অনুযায়ী কার কত লোক কাজ পাবে তা ঠিক হয়। |
হারাধন রায়, মহম্মদ আলি হুসেন, বিশ্বজিৎ গুহরায়, বলবীর সিংহরা জানান, তাঁরা সিটু ছেড়ে যোগ দিয়েছেন আইএনটিটিইউসিতে। তাঁদের অভিযোগ, সিটু নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধী সংগঠনগুলির কর্মী সমর্থকদেরও অলিখিত চুক্তি অনুযায়ী সংখ্যানুপাতে কাজ দিত। কিন্তু এখন আর তেমন কোনও চুক্তি নেই। আইএনটিটিইউসি-র সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুক্ত কর্মী সমর্থকদের আগে কাজ দিতে চাইছেন সংগঠনের নেতৃত্ব। হারাধনবাবুর ক্ষোভ, “আইএনটিটিইউসি-ও আমাদের দেখছে না। দীর্ঘ দিন রোজগার হারিয়ে বসে রয়েছি।” প্রবীণ বলবীর সিংহ জানান, গত প্রায় চার দশক ধরে তিনি ডিএসপি-তে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করছেন। পি এফ, ইএসআই চালু রয়েছে। হাতে রয়েছে ডিএসপি-র ১৪ নম্বর গেটের সরকারি প্রবেশপত্র। অথচ কাজ মিলছে না। তিনি বলেন, “এ রকম চলতে থাকলে কিন্তু না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।”
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ডিএসপি-র কোনও ঠিকাশ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়নি। তিনি জানান, ঠিকা শ্রমিকদের জন্য মূলত তিন ধরনের কাজ রয়েছে। এক ধরনের কাজ চলে বছরে ৯ মাস বা তার বেশি। কিছু কাজ রয়েছে দু-তিন মাসের। আবার দিন কয়েকের কাজও রয়েছে। তিনি বলেন, “সবাই যাতে কাজ পান তা দেখা হবে।” |