প্রস্তাবিত কাওয়াখালি উপনগরীর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হল। শনিবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উপনগরী প্রকল্পে জমি দিতে একাংশ জমির মালিক তাঁদের অনিচ্ছার কথা প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন। অনেকে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঠিক মতো পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি ‘টেকনিক্যাল কমিটি’, অপরটি ‘রিলেশন কমিটি’। আগামী বুধবার তারা বৈঠক করে কাজ শুরু করবে।
এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচায বলেন, “জমি অধিগ্রহণের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে টেকনিক্যাল কমিটি। তাতে ভূমি দফতর ও আমাদের প্রতিনিধিরা থাকবেন। অনিচ্ছুকদের কতটা জমি, কে কী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বিস্তারিত সমীক্ষা করবে তারা। রিলেশন কমিটি জমির মালিক তথা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ, বক্তব্য নথিভুক্ত করবেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই দুই কমিটি কাজ সেরে ফেলবে।” এসজেডিএ সূত্রেই খবর, রিলেশন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন জ্যোৎস্না অগ্রবাল।
বামজমানায় শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে কাওয়াখালি এলাকায় উপনগরী গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয় এসজেডিএ। ২০০৬ থেকে প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০২ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হলেও অনেক জমিমালিক বিরোধিতা করেন। সম্প্রতি উপনগরী প্রকল্পের জমিতে এক বেসরকারি হাসপাতাল পাঁচিল দিতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। পুনর্বাসন প্যাকেজ নেওয়া কিছু ব্যক্তিও সব সুবিধা মেলেনি জানিয়ে সরব হন। এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে শ্রমজীবী মানুষদের চিকিৎসার জন্য উপনগরী এলাকায় একটি ইএসআই হাসপাতাল তৈরি, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির সিংহ দুয়ার সংস্কার-সহ শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। |