সহবাসের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেফতার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের হাতে নিগৃহীত হলেন অভিযোগকারী ওই মহিলা।
শুক্রবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজারে গুরুতর জখম ওই মহিলাকে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠরাই ওই মহিলাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফের একটি অভিযোগ করেছে। মালদহ হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রী আড়ি মহিলার নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এ দিকে, শুক্রবারই পুলিশ অশোকপ্রসাদ গুপ্ত নামে মালদহ সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। রাতে তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ফলে শনিবার ওই চিকিৎসককে আদালতে হাজির করাতে পারেনি পুলিশ। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “ধৃত চিকিৎসক সুস্থ হয়ে উঠলেই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। আদালতকে এ কথা জানানো হয়েছে। ওই মহিলাকে মারধর করার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ধৃত চিকিৎসকের সহকারী হিসাবে ওই মহিলা কাজ করতেন। ঘনিষ্ঠতার জেরে প্রায় দু’বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেছেন তাঁরা বলে ওই মহিলার দাবি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানান, চিকিৎসক বিবাহিত জেনে তিনি ভেঙে পড়েন। এরপরেই তিনি অসোকবাবুকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। সে কারণে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন ওই চিকিৎসক।
পুলিশ এই ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করলেও চিকিৎসককে গ্রেফতার না-করায় ওই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর এবং মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানান। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরেই মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এ দিন মালদহ সদর হাসপাতালের শয্যায় বসে ওই মহিলা বলেন, “সন্ধ্যাবেলা গাড়ি ধরার জন্য সুকান্ত মোড়ের কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় ৪-৫ জন যুবক আমাকে জোর করে একটি ছোট গাড়িতে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। হুমকি দেয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে আমার পরিবারের সবাইকে খতম করে দেবে। আমি চিৎকার শুরু করলে ওই যুবকরা গাড়ি থামিয়ে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।” |