|
|
|
|
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ১২ চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এ বার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধল তৃণমূল সমর্থকদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার পুড়সুড়ি গ্রামে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে দু’দলের ১২ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের ক্ষীরপাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর-লুঠপাট-অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “গোলমালের ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি টহল চলছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”
এরই মধ্যে আজ, রবিবার চন্দ্রকোনার তাতারপুরে এক সমাবেশের আয়োজন করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ উপস্থিত থাকবেন সেই সমাবেশে। সেই সমাবেশের প্রচারকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি-কর্মীরা। ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের অভিযোগ, “শুক্রবার রাতে আচমকাই আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায়। মহিলারাও নিগৃহীত হন। আমাদের ৮ জন জখন হয়েছেন।” বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, “তাতারপুরে আমাদের সভাকে বানচাল করতে তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছে। শুক্রবার দলের কর্মীরা পুড়সুড়ি গ্রামে প্রচার করতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল। আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর-লুঠপাটও চালানো হয়েছে।”
অন্য দিকে, কেশপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, ব্লক নেতা নেপাল ঘোষ, গোলাম মোর্তাজা-সহ কয়েক জন বাঁকাচেতা গ্রামে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। শনিবার সকালে তাঁরা এলাকায় পৌঁছনোর পরেই তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। এই ঘটনায় নেপালবাবু গুরুতর জখম হন। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোলাম মোর্তাজা ও নেপালবাবুর অভিযোগ, “আমরা ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের অনুমতি নিয়েই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। ব্লক সভাপতিও সেখানে ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই আমাদের উপর হামলা হয়েছে।” আশিসবাবু এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “একটা বিবাদের ঘটনা শুনেছি। কী কারণে এমন ঘটল, খোঁজ নিয়ে দেখছি।” শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ খানাকুলের পোল-২ পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজিতে কেউ হতাহত হননি। কিন্তু এই ঘটনার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা ওই পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে যাওয়া গড়েরঘাট-আরামবাগ রোডে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। |
|
|
|
|
|