|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৬ নভেম্বর- ১২ নভেম্বর |
|
জেরুজালেম/তেহরান রোম নিউ ইয়র্ক মালে ইস্তানবুল |
• তাপমাত্রা বাড়ছে। মঙ্গলবার ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইজরায়েল ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত হানতে পারে। ইরানের ওপর মার্কিন-ইজরায়েলি আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আল খামেনেই (ছবি) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে কোনও আক্রমণ হলে ‘বজ্রমুষ্টি’তে তার মোকাবিলা করা হবে। শুক্রবার আই এ ই এ কিছু গোপন চিঠি এবং উপগ্রহ-চিত্র প্রকাশ করেছে, সেগুলি নাকি পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের প্রমাণ। তেহরান এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। |
• প্যালেস্তাইনের ‘স্টেটহুড’ আবেদনপত্র রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্কের ঝড় তুলল। দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেল নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশ। এই মতবিরোধের ফলে স্বভাবতই বানচাল হতে বসেছে প্যালেস্তাইনের দেশ স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে নির্ধারিত হওয়ার আবেদন।
মলদিভস্-এ শুরু হল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক দেশগোষ্ঠী সার্ক-এর সম্মিলন। এ বার বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে পরিবেশের উপর, বিশেষত হিমালয় পর্বতাঞ্চলের পরিবেশের উপর।
• তুরস্কে প্রবল ভূমিকম্প। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় চল্লিশ জন। তার মধ্যে কিছু সাংবাদিকও আছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এ বারের ভূমিকম্প বিরাট জাতীয় বিপর্যয়ের কারণ হতে চলেছে।
|
অবশেষে বিদায়। টানা ১৭ বছর ইতালির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সিলভিও বার্লুস্কোনি। তাঁর জমানাতেই ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েছে দেশ। মহিলাদের প্রতি আকর্ষণের কারণে তাঁর নাম যত বার শিরোনামে এসেছে, সুশাসক হিসেবে তার ভগ্নাংশমাত্র নয়। শেষ পর্যন্ত গদি ছাড়ছেন তিনি, সবাই খুশি। বিদায়বেলায় একমাত্র সান্ত্বনা, রুশ প্রধানমন্ত্রী পুতিন বলেছেন, বার্লুস্কোনি ইউরোপের সেরা নেতাদের অন্যতম। |
|
আথেন্স |
এই মুহূর্তে পৃথিবীর নিশ্চিন্ততম মানুষ কে, এই প্রশ্নের ঠিক উত্তর সম্ভবত জর্জ পাপান্দ্রিউ। তিনি গ্রিসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। দেশের আর্থিক সংকটের চাপ সামলাতে না পেরে তাঁকে পদত্যাগ করতে হল, ভেঙে দিতে হল তাঁর স্যোশালিস্ট পার্টির সরকার। অর্থনীতিবিদ, টেকনোক্র্যাট লুকাস পাপাদেমাস (ছবি) দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন। ৪৮ সদস্যের সর্বদলীয় সরকার গঠন করলেন। স্যোশালিস্ট পার্টিও এই সরকারের শরিক। এখন দেখার, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এই প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কত দিন প্রধানমন্ত্রিত্বের কাঁটার মুকুটের ভার বহন করতে পারেন। দেখার, তিনি দেশের পথভ্রষ্ট অর্থনীতির লাগাম ধরতে পারেন কি না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্রাণের শর্ত মানতে দেশবাসীকে রাজি করানো তাঁর প্রধান কাজ। |
ওয়াশিংটন |
ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি (ছবি) পড়েছেন মহা ফাঁপরে। না হয় হোয়াইট হাউসের নিরালা কক্ষে বসে মনের কথাটি গোপনে সখা ওবামাকে বলেই ফেলেছিলেন তিনি। তাই বলে সাংবাদিকরা তা শুনে ফেলে বিশ্বময় রটিয়ে বেড়াবেন? প্যালেস্তাইন ইজরায়েল সংকটের সমাধান করতে গিয়ে আপাদমস্তক বিভ্রান্ত সারকোজির মত: ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু অত্যন্ত মিথ্যাবাদী। তাঁর সঙ্গে কাজ করাই কঠিন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি এ কথা বলেছেন, জানামাত্র হইহই পড়ে গেছে সর্বত্র। অবশ্য ওবামাও কিছু কম বলেননি। সারকোজির উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আপনি এমন ভাবতেই পারেন, কিন্তু আমার তো ওঁর সঙ্গে দিনরাত কথা চালানো ছাড়া গত্যন্তর নেই!’ |
ইসলামাবাদ |
প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক এখন ঘোরতর রাজনীতিতে মজেছেন। তালিবানদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, তিনি উদারপন্থী (লিবারাল)। কড়া প্রতিক্রিয়া তালিবান গোষ্ঠীর। মুখপাত্র বললেন, যারা নিজেদের উদারপন্থী বলে দাবি করে, তারা ইসলামের বিরোধী। ইমরান আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীতদাস। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে এখন যে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চলছে, সে বিষয়ে ইমরানের অবস্থান অনেকেরই না-পসন্দ। ভারতের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ কম: অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে, ইমরান আলোচনার কেন্দ্রে। ২০১৩ সালে নির্বাচন। আলোয় আসার এই তো সময়। |
কায়রো
|
১১-১১-১১। সংস্কার কুসংস্কারের ধুম দেখল গোটা দুনিয়া। কে বলে ভারতবর্ষই সংস্কারের ডিপো? চিনে হুড়মুড়িয়ে বিয়ে করতে ছুটল সবাই, দারুণ নাকি শুভ দিন সেটা। সবচেয়ে আশ্চর্য কাণ্ড মিশরে। পিরামিডগুলি সে দিন বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিল ওপরমহল। কেননা, ইন্টারনেটে ব্যাপক গুজব ছড়িয়েছে, সে দিন নাকি কী সব অদ্ভুত ‘রিচুয়াল’ ঘটবে পিরামিডের মধ্যে! শোনা মাত্র কোনও রিস্ক নেয়নি কর্তৃপক্ষ। চিচিং বন্ধ্। |
শেষ পাত |
দেশে প্রবল আর্থিক সংকট, কোষাগারে বিপুল ঘাটতি, সরকারের ঘাড়ে বিরাট দেনার বোঝা। যত দিন বাজেটের হাল না ফেরে, প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীদের মাইনে বাড়বে না। জানিয়ে দিয়েছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিলঁ। কর্পোরেট কর্তাদেরও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকায় যে ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল করো’ আন্দোলন চলছে, তার চাপেই কি এই ‘কৃচ্ছ্রসাধন’? হয়তো বা, তবে ফ্রান্সের নাগরিকরা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট হয়েই নিকোলাস সারকোজি নিজেদের মাইনে বিস্তর বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর নিজের বেতন বেড়েছিল প্রায় তিনগুণ। |
|