কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাইয়াছে, অতঃপর চলচ্চিত্রের পর্দায় কেহ ধূমপান করিলে ছবি আরম্ভ হওয়ার পূর্বে অন্তত ২০ সেকেন্ড তাঁহাকে ধূমপানের কুফল বিষয়ে বলিতে হইবে। মন্ত্রকের আদেশের সম্প্রসারণ প্রয়োজন। ছবিতে খুন, ধর্ষণ, ঘুষ লওয়া, শিশুশ্রম, পণ আদায় ইত্যাদি বহুবিধ ক্ষতিকর উপাদানও থাকে। ছবি শুরু হইবার পূর্বে এই বিষয়গুলি লইয়াও কুড়ি কুড়ি সেকেন্ড বলা হউক। পূর্বে ছবির আগে বিশ্বের খবর দেখাইত, এখন না হয় নীতিকথা শোনা যাইবে। তবে, জনগণের স্মৃতি অতি দুর্বল। ছবির গোড়ায় শোনা নীতিকথা দেড় ঘণ্টা স্মরণে রাখা কঠিন। ফলে, যে দৃশ্যে অভিনেতা ধূমপান করিবেন, সেই দৃশ্যেই এই নীতিকথাটি দেখানো বিধেয়। তাহাতে ব্রেশ্ট-এর স্মৃতিতর্পণের কাজটিও হইয়া যাইবে। তবে, চোখ থাকিতে কানে কেন? ধূমপানের দৃশ্যে পর্দার একটি অংশে অভিনেতার কঙ্কালের ছবি ভাসিয়া উঠিতে পারে (অবশ্যই কম্পিউটার-নির্মিত, বালাই ষাট), তাহার ফুসফুসে মস্ত কালো দাগ। কারণ ও ফলাফল, একই পর্দায়। ছবি হিট, সরকারের চেষ্টাও। |