ব্যাঙ্কক থেকে বিমানে কলকাতায় এসেছেন সঞ্জীব ঘোষ। অথচ চার দিন ধরে তাঁর একটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে ব্যাঙ্ককে। সময়মতো ব্যাগ না পৌঁছনো নতুন ঘটনা নয়।
কিন্তু সঞ্জীববাবুর ক্ষেত্রে ঘটনাটি একটু ব্যতিক্রমী। ব্যাগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা চেয়েছে বিমানসংস্থা। পুলিশের কাছে বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তিনি। অভিযোগ, ব্যাঙ্ককে বিমানে ওঠার সময়ে তাঁকে অতিরিক্ত টাকার কথা জানানোই হয়নি।
ছোট-বড় কাপড়ের পুঁটলি নিয়ে কলকাতা-ব্যাঙ্কক রুটে কিছু ব্যবসায়ী নিয়মিত যাতায়াত করেন। এঁদের ‘ক্যারিয়ার’ বলা হয়। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, বিমানের ভিতরে কাপড়ের পুঁটলি নিয়ে যাত্রীদের উঠতে দিলেও তাঁকে হাতব্যাগ নিয়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। কাপড়ের পুঁটলিতে বিমানের আসনের উপরে মাল রাখার কেবিন ভর্তি থাকায় অন্য যাত্রীর ব্যাগ রাখার জায়গা থাকছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই যাত্রী।
একটি জাহাজ সংস্থার অফিসার সঞ্জীববাবু গত ৮ নভেম্বর ব্যাঙ্কক থেকে জেট সংস্থার বিমানে কলকাতায় ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিল একটি হাত-ব্যাগ ও ল্যাপটপ। ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরের ‘ডিউটি-ফ্রি’ দোকান থেকে চকোলেট ও পানীয় কেনেন। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, বিমানে ওঠার মুখে তাঁকে আটকানো হয়। বলা হয়, এত ওজন নিয়ে তিনি বিমানে উঠতে পারবেন না। তিনি বিমান থেকে নেমে যেতে চাইলে এক বিমানকর্মী তাঁর হাতব্যাগটি বিমানের পেটে পাঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তার জন্য সঞ্জীববাবুকে একটি টিকিট দেওয়া হয়। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, “তখন অতিরিক্ত টাকার কথা বলা হয়নি।”
অথচ কলকাতায় নামার পরে ব্যাগের খোঁজ করতেই সংস্থার তরফে বলা হয় অতিরিক্ত ১০ কিলোগ্রামের দাম দিলে তবেই ব্যাঙ্কক থেকে ব্যাগ আসবে। তার পর ১১ নভেম্বর তাঁকে বলা হয়, অতিরিক্ত ১৪ কিলোগ্রামের দাম দিতে হবে। সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাগে কিছু জরুরি সার্টিফিকেট ছাড়াও দামি ঘড়ি ও অন্য কিছু জিনিসপত্র রয়েছে।
বিমানসংস্থার যুক্তি, ডিউটি-ফ্রি থেকে কেনা জিনিস-সহ হাতব্যাগের মোট ওজন ১০ কিলোগ্রামের বেশি হওয়ার কথা নয়। সঞ্জীববাবুর ক্ষেত্রে তা বেশি ছিল। তাই অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয়েছে। |