ফিকি ফ্রেমস-এর ‘কলকাতা চ্যাপ্টার’-এর সৌজন্যে বাংলা ছবি প্রযুক্তির হাত ধরে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগোবে বলে আস্থা রাখছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বণিকসভা ‘ফিকি’র উদ্যোগে এই ফিকি ফ্রেমস সম্মেলন চলচ্চিত্র-সহ বিনোদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের মত বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়। আগামী ডিসেম্বরে কলকাতায় প্রথম বার এই আসর বসার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে উৎসাহী। সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা ফিকি-র প্রাক্তন কর্তা অমিত মিত্রের পরামর্শ নিতে এ দিন মহাকরণে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎই কলকাতায় ফিকি ফ্রেমসের আহ্বায়ক। মহাকরণে তিনি বলেন, “এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে অমিতদা অভিজ্ঞ। তাই তাঁর পরামর্শ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।” প্রসেনজিৎ মনে করছেন ফিকি ফ্রেমসের সৌজন্যে বাংলা ছবির উৎকর্ষ ও ব্যবসা— দু’টোই বাড়বে। তিনি বলেছেন, “চলচ্চিত্রের সঙ্গে যাঁরা সরাসরি যুক্ত সৃষ্টিশীলতা, প্রযুক্তি বা বাণিজ্যের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের যোগাযোগ গড়ে উঠবে ফ্রেমস-এর আসরে।” প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের হাত ধরে ঠিক কী ভাবে উৎকর্ষের পথে এগোতে পারে বাংলা ছবি? প্রসেনজিতের ব্যাখ্যা, “গত সপ্তাহে শাহরুখের ‘রা ওয়ান’-এর পরে এখন সর্বত্র টিনটিন নিয়ে জোর আলোচনা। এ সবই ছবিতে ‘স্পেশ্যাল এফেক্টস’-এর জন্য। এই ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ছোটদের সামনে আমরা ঠাকুরমার ঝুলি বা আবোল তাবোলকেও সেলুলয়েডে তুলে ধরতে পারি।” বলিউডের ছবি ছাড়া দক্ষিণী ছবির প্রসারেও এর আগে সহায়তা করেছে ফিকি ফ্রেমস। ২০০৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে চেন্নাই ও হায়দরাবাদে হচ্ছে ফিকি ফ্রেমস-এর ‘সাউথ ইন্ডিয়ান চ্যাপ্টার’। দক্ষিণে অভিনেতা কমল হাসন নিজে এই অনুষ্ঠান নিয়ে উদ্যোগী হন। বাংলা ছবি ও বিনোদন শিল্প এই মুহূর্তে ৬০% হারে বাড়ছে বলে দাবি প্রসেনজিতের। কলকাতায় ফিকি ফ্রেমস-এর হাত ধরে একাধারে লগ্নি ও কর্পোরেট প্রভাবে বাংলা ছবি আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন। |