রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা শুরু হল কোচবিহারে। বৃহস্পতিবার রাতে মদনমোহন মন্দিরে পুজো করে রাসচক্র ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা করেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী। পুরোহিতের পাশে বসে মন্ত্রোচ্চারণ করে রাত ৯ টা নাগাদ রাজপরিবারের কুলদেবতার বিশেষ পুজো করেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, “এমন সুযোগ আগে পাইনি। সত্যি এটা এক অন্য অনুভূতি।” |
রাসমেলার আয়োজনের দায়িত্বে কোচবিহার পুরসভা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শহরের এমজেএন স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠে ১৫ দিন ধরে মেলা চলবে। পুরসভা এবং দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা চত্বরে সার্কাসের তাবুর কাজ শেষ হয়েছে। নাগরদোলা মৃত্যুকূপ, টয়ট্রেন-সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকছে। মঞ্চে প্রতিদিন স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীদের জলসার আয়োজন রয়েছে। মদনমোহন মন্দিরে ভগবত পাঠ নাম সংকীর্তন, ধর্মীয় যাত্রানুষ্ঠান হবে। রাসমেলায় জেলা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মেলার প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর, নজরদারির জন্য মেলা চত্বরে ৬টি ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নজরমিনার থেকেও ভিড়ে নজরদারি চলবে। ইভটিজিং ঠেকাতে সাদা পোশাকে মহিলা এবং পুরুষ পুলিশ কর্মীরা মেলার ভিড়ে ঘুরছেন। |
স্নিফার ডগ, বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশ্বসিংহ রোড, সুনীতি রোড-সহ শহরের বেশ কিছু ব্যস্ততম রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাও হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকও করেন খোদ কোচবিহার পুলিশ সুপার প্রণব দাস। পুলিশ সুপার বলেন, “বাইরের জেলা থেকে অনেক পুলিশ অফিসাররাও এয়েছেন। সকলকে নিয়ে এ দিন বৈঠক হয়েছে। নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাই না।”
|