নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
যুব কংগ্রেসের দার্জিলিং লোকসভা কমিটির সভাপতি হলেন ইউনুস লেপচা। বৃহস্পতিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হল ঘরে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। তাতে ১০ জন জন প্রার্থী ছিলেন। ভোটার ৬৫ জন। নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি ভোট যিনি পাবেন তাঁকেই সভাপতি করার কথা। তার পর ভোটের নিরিখে যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনি সহসভাপতি। ১০ জনের কমিটির মধ্যে বাকিরা সকলেই সাধারণ সম্পাদক। ইউনুস-সহ ৩ জন ১২ টি করে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ায় সভাপতি, সহ সভাপতি বাছতে লটারি করতে হয়েছে। তাতে সভাপতি হয়েছেন কালিম্পংয়ের ইউনুস লেপচা। সহ সভাপতি হয়েছেন প্রদীপ সিংহ। ১২ টি ভোট পেয়েও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শিলিগুড়ির দীপঙ্কর লামা। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শিলিগুড়ি ছাড়া চোপড়ার একাংশ এবং পাহাড়ের ৩ টি মহকুমা রয়েছে। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, সহসভাপতি হিসাবে নির্বাচিত প্রদীপবাবু চোপড়ার মোহিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ এবং নির্বাচিত সভাপতি কে বি ছেত্রীর অনুগামী বলে পরিচিত। দীপঙ্কর মালা সুজয় ঘটকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রার্থী অভিজিৎ রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১০ টি ভোট। তিনিও সাধারণ সম্পাদক। তবে তা নিয়ে দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই বলেই জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন। দার্জিলিং লোকসভা কমিটির নির্বাচলে দায়িত্বে থাকা লোকসভা রিটার্নিং অফিসার গগনদীপ সিংহ বলেন, “কে কার ঘনিষ্ঠ এমন কোনও ব্যাপার নেই। যুব কংগ্রেসের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দলের জেলাস্তরের শীর্ষনেতাদের এই প্রক্রিয়ায় বাইরে রাখা হয়েছে। যাতে তারা কাউকে প্রভাবিত করেছেন এমন অভিযোগ না ওঠে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। ৩ জন ১২ টি করে ভোট পাওয়ায় সভাপতি, সহসভাপতি বাছতে লটারি করতে হয়েছে।” দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার জানান, ১০ জনের কমিটি গড়তে নির্বাচন হয়েছে। কেউ কারও লোক বলে কোনও ব্যাপার নেই। সভাপতি, সহ সভাপতির পদ ছাড়া বাকি সবই সাধারণ সম্পাদক। তাতে যিনি ১০ টি ভোট পেয়েছেন আর যিনি ২ টি ভোট পেয়েছেন সকলেই এক। তা নিয়ে কোনও বিরোধ নেই। |