নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের হাল ফেরানো এবং চা নিলাম কেন্দ্রকে চাঙ্গা করা, দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়িবাসীর ‘আবেগের’ সঙ্গে জড়িত। এই তিন দাবি মেটাতে একই সঙ্গে উদ্যোগী হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজতেও তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন নিয়ে প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে টানাপোড়েন চলছে। অবশেষে গত বছরের জুলাই মাসে হাইকোর্টের তরফে জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের পরিকাঠামো সর্বশেষ পরিদর্শন করা হয়। সেই সময়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পাহাড়পুরে স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য অধিগৃহীত জমিতে সীমানার প্রাচীর দিয়ে কাজ হলেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ অস্থায়ী পরিকাঠামোয় চালু করবে কলকাতা হাইকোর্ট। চলতি বছরে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে নতুন সরকার শপথ নিয়েই সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখে। সেই মতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে পরিকাঠামো তৈরির জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব সেই বরাদ্দ অনুমোদনের ফাইলে সই করেন। গৌতমবাবু জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রক থেকেও প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দেড় কোটি টাকা দিয়ে স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য অধিগৃহীত জমিতে সীমানা প্রাচীর এবং ৫ কোটি টাকা দিয়ে জমিতে ভিত তৈরির কাজ হবে। স্থায়ী হাইকোর্ট ভবন তৈরি করতে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সেই টাকাও ধাপে ধাপে বরাদ্দ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। টাকা বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি ভাবে রাজ্যের তরফে সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠমো তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকেও অস্থায়ী ভাবে বেঞ্চের কাজ শুরু এবং উদ্বোধনের কাজে সবুজ সঙ্গেত মিলবে বলে রাজ্য সকারের তরফে আশা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠোম তৈরির বরাদ্দের ফাইলে সই করা হয়ে গিয়েছে। এবার সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হবে। সেই সঙ্গে ভবনের ভিত তৈরির কাজও শুরু হয়ে যাবে। বেঞ্চের উদ্বোধন যাতে দ্রুত হয় সে জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গবাসী সার্কিট বেঞ্চের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।” সার্কিট বেঞ্চের মতোই বেহাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স নিয়েও উদ্যোগী হয়েছেন গৌতমবাবু। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পরিকাঠামো ঢেলে সাজার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর জমা পড়া সব আবেদনপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দ’ুবছর ধরে বন্ধ থাকা জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রকে চাঙা করার জন্যও পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নিয়ে অনেক দুর এগোনো হয়েছে। চলতি মাসেই কমপ্লেক্সের পরিকাঠামো তৈরিতে কোন সংস্থাকে যুক্ত করা হবে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি চা নিলাম কেন্দ্র নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক উদ্যোগী হয়েছেন। ওঁর সঙ্গেও কথা হয়েছে। উনি ভাল কাজ করছেন।” জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পরিষেবার মান উন্নতি করতে হাসপাতালের পরিকাঠোম ঢেলে সাজাতে সরকারে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। |