নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’টি নয়। বরাবরের মতো একটি পরীক্ষা নিয়েই স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোনও প্রার্থীর নিজের বিষয়ের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মনস্তত্ত্ব, ভাষা ইত্যাদি ব্যাপারে ধারণা কতটা স্পষ্ট, তা জানার জন্য ‘টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট’ (টেট) নেওয়ার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সুপারিশ মেনে দু’টি ভাগে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তারা। কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল আগে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে প্রথম পত্রটি হবে ‘টেট’-এর আদলে। তাতে ৬০% নম্বর পেলে তবেই বিষয়-ভিত্তিক পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রার্থীরা। কিন্তু ৩ নভেম্বরের বৈঠকে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরীক্ষা হবে একটিই।
তবে প্রশ্নপত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা। এক কর্তা বলেন, “প্রশ্নপত্রে দু’টি ভাগ থাকবে। একটি ভাগে থাকবে বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন। অন্যটিতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে টেট-এর আদলে প্রশ্ন থাকবে।” কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশুর বিকাশ ও তার মনস্তত্ত্ব এবং দু’টি ভাষার প্রশ্নের উত্তর লেখা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ‘গণিত ও সম্পর্কিত বিষয়’, ‘সমাজ বিজ্ঞান’ অথবা ‘অন্যান্য’ এই তিনটি ভাগের যে-কোনও একটি বেছে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে প্রার্থীদের। ‘টেট’-এর প্রশ্নের ধাঁচ এ-রকমই। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সাবেক ধাঁচের সঙ্গে এগুলি যুক্ত হতে পারে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
এ ছাড়া নতুন কাঠামোর পরীক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জন্য ধার্য নম্বর বাড়ানো হচ্ছে। এত দিন বিএড ডিগ্রিধারীদের সর্বোচ্চ তিন নম্বর দেওয়া হত। দফতরের এক কর্তা বলেন, “নতুন ধাঁচে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিধি তৈরি হচ্ছে। তার পরেই পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।” |