নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে পথে নামার কথা ঘোষণা করেনি সিপিএম। বরং তারা মনে করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আরও কিছু দিন সময় দেওয়া উচিত। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের সিপিএম-সমর্থক সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি নতুন সরকারকে আর সময় দিতে রাজি নয়।
মমতার সরকারের ছ’মাস পূর্ণ হচ্ছে ২০ নভেম্বর। তার দু’দিন পরেই, ২২ তারিখে কলকাতা ও জেলায় অবস্থান ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করবে কো-অর্ডিনেশন। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “রাজ্যে পালাবদলের পরে আমরা বলেছিলাম, এই সরকারকে সময় দেব। সেই সময়টা দেওয়া হয়েছে। এ বার সরকারের কিছু কিছু কাজ ও নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করছি।” ধাপে ধাপে আন্দোলনের মাত্রা বাড়ানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নতুন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর প্রথম ধাপে আগামী ২২ নভেম্বর অফিস ছুটির পরে রানি রাসমণি রোডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সেই সমাবেশে ছ’দফা প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। পরের ধাপে থাকছে গণ ডেপুটেশন কর্মসূচি। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। মাত্র ছ’মাসের একটি সরকারকে ‘যথেষ্ট সময়’ দেওয়া হয়েছে বলে কেন মনে করছেন তাঁরা? অনন্তবাবু মন্তব্য করেন, এমন কিছু কাজ বা সমস্যা আছে, ছ’মাসেই যেগুলির সমাধান করা যেত। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঁচ মাসে ১২টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনওটারই উত্তর আসেনি। “নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের সব চেয়ে বড় সংগঠন হিসেবে আমাদের সঙ্গে আলাদা ভাবে আলোচনাও করেনি নতুন সরকার,” অভিযোগ করেন ওই নেতা।
নতুন সরকার এখনও কর্মীদের এক শতাংশ মহার্ঘ ভাতাও দেয়নি। অথচ পাওনা ২৩%। এই নিয়ে মহাকরণে বিক্ষোভও দেখিয়েছে বিভিন্ন কর্মী সংগঠন। তৃণমূলের কর্মী সংগঠন প্রকাশ্যে কিছু করেনি। তবে অস্বস্তিতে রয়েছে। কো-অর্ডিনেশন এত দিন সেই ভাতার দাবিতে আন্দোলন করেনি। অনন্তবাবু জানান, তাঁদের ছ’দফা দাবির মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথাও রয়েছে। অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে: বেতন কমিশনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সুপারিশ রূপায়ণ এবং তৃতীয় অধ্যায় প্রকাশ। নতুন সরকার নিয়ম মেনে বদলি করছে না এবং কর্মীদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার খর্ব করছে বলে অভিযোগ তুলেছে কো-অর্ডিনেশন। তাদের বক্তব্য, “আমরা ছ’মাস কিছু করিনি। কিন্তু আর চুপ করে বসে থাকা যায় না। |