বারাসত, বসিরহাটের সঙ্গে রাজারহাটের দূরত্ব অনেকটাই কমে যায় এই রাস্তার কল্যাণে। নিত্য এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন হাজার-হাজার মানুষ। এই রাস্তা দিয়েই ভেড়ির মাছ ও গ্রামের সবজি চলে যায় শহরে। স্থানীয় ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট-খড়িবাড়ির রোডের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। রাস্তার পিচ-পাথর উঠে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মাঝে-মধ্যেই তৈরি হয়েছে গর্ত। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে জেলা পরিষদে স্মারকলিপি দেওয়া থেকে শুরু করে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা আর সারেনি। |
রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করে জেলাসভাধিপতি ভরত দাস বলেন, “ওই রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে জেলার কিছু রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। ওই রাস্তার কাজও করা হবে।”
রাজারহাট নিউটাউন রোডের চিনারপার্ক থেকে শুরু হওয়া রাস্তাটি বাগুইআটির ভিতর দিয়ে খড়িবাড়ি, শাসনের আমিনপুর, ষণ্ডালিয়া রেল স্টেশন পেরিয়ে বেলিয়াঘাটার কাচকলে এসে রাস্তাটি বারাসত-টাকি রোডে মিশেছে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তার সাহায্যে ওই সব এলাকার মানুষ ছাড়াও বসিরহাট, দেগঙ্গার বাসিন্দারাও সরাসরি কলকাতা যাতায়াত করতে পারেন। শুধু তাই নয়, গোটা বসিরহাট, দেগঙ্গা এলাকার সবজি, আম ছাড়াও শাসন-খড়িবাড়ি অঞ্চলের ভেড়ির মাছও এই রাস্তা দিয়েই শহর অভিমুখে নিয়ে যান চাষিরা। কিন্তু রাস্তাটি মাস ছয়েক হল খুব খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্ষার পর রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই সমস্যা হয়ে পড়েছে।স্থানীয় কৃষক মাফিজুর রহমান বলেন, “অবস্থা এমন হয়েছে যে, বাধ্য হয়ে আমাদের গাড়িতে করে মালপত্র নিয়ে বারাসত ঘুরে কলকাতা শহরে ঢুকতে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, “রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাড়ি নিয়ে তো যাওয়াই যাচ্ছে না। সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। মাস তিনেক আগেও সমস্ত খড়িবাড়ির মানুষ রাস্তা সংস্কারের জন্য স্মারকলিপি দেন। কিন্তু আজও রাস্তা ঠিক হল না।” |