এ বার সংশোধিত জাতীয় ক্রীড়া বিল নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের অবস্থানের সরাসরি বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অজয় মাকেনের পাশে দাঁড়ালেন কপিল দেব।
সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করিয়ে নিতে উদ্যোগী মাকেনের ডাকে এ দিন মান্ডি হাউসে ফিরিক প্রেক্ষাগৃহে বসেছিল ভারতীয় ক্রীড়াজগতের চাঁদের হাট! প্রকাশ পাডুকোন, কপিল দেব, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, ভাইচুং ভুটিয়া, পঙ্কজ আডবাণী, অশ্বিনী নাচাপ্পা, অভিনব বিন্দ্রা, কীর্তি আজাদ, রঞ্জন সোধি, মোরাদ আলি খানরা সকলেই ছিলেন। সকলেই চান যত দ্রুত সম্ভব সংসদে পাশ হোক ক্রীড়া বিল। এ দিকে, বোর্ড আজও সাফ জানায়, সংশোধিত চেহারাতেও বিল তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মান্ডি হাউসের অনুষ্ঠানে কপিল কিন্তু এই প্রশ্নে মাকেনের পাশে। বললেন, “বিল পাশ হয়ে গেলে বোর্ড কর্তাদের সেটা মেনে চলতেই হবে। আপনার যতই টাকা থাকুক আপনি দেশের আইনের উর্ধ্বে হতে পারেন না।”
মান্ডি হাউসের অনুষ্ঠান শুরুর আগে আইপিএল চেয়ারম্যান ও বোর্ডের কর্তা রাজীব শুক্ল সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, “বিল নিয়ে আমাদের আপত্তি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রককে জানানো হয়েছে। সেগুলো গ্রাহ্য না হলে আমরা ওই বিল মেনে নেব না।” ক্রীড়া বিল-এ ভারতীয় বোর্ডকে জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশন হিসাবে কাজ করতে হবে বলে প্রস্তাব রয়েছে। বোর্ড যা সরাসরি তাদের স্বশাসনে হস্তক্ষেপ হিসাবেই দেখছে। এ নিয়ে কপিলের টিপ্পনি, “আসলে বিশেষ এক জনের জন্যই বিসিসিআই এমন আচরণ করছে।”
বিল পাশ হলে প্রত্যেকটি ক্রীড়া সংগঠনের পঁচিশ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে ক্রীড়াবিদদের জন্য। প্রাক্তন অল-ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন প্রকাশ পাডুকোন বলছিলেন, “এর আগে খেলোয়াড়দের নিয়ে কোনও সরকার তেমন ভাবে ভাবেনি। দীর্ঘ দিন ধরে যারা খেলাধুলার কিছুই বোঝে না তারাই ফেডারেশনের বড় পদগুলোকে আঁকড়ে ধরে বসে রয়েছে। এদের না সরালে খেলাধুলার সার্বিক মানের উন্নতি হবে না।” প্রাক্তন ভারত আধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া বললেন “ফেডারেশনে খেলোয়াড়দের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ নিয়ে আগে কেউ কোনও দিন ভেবেছে? আর বড় কর্তাদের মেয়াদ বেঁধে দেওয়াও বড় পদক্ষেপ যারা যথাক্রমে ১২ ও ৮ বছরে কিছু করতে পারে না।” |