কোনও ভারতীয় ফুটবলার নন, মারগাওতে আই লিগের দু’টি ম্যাচ দেখে রবাটর্র্ এডওয়ার্ড বানের নজর কেড়েছেন বিদেশিরাই। “ভাল মানের বিদেশি ফুটবলাররা আসুন ক্ষতি নেই। কিন্তু তাঁরা যেন শুধু টাকার জন্য না আসেন। প্রতিশ্রুতিমানদের তুলে আনতেও সাহায্য করেন।”
তাঁর ছাত্রের তালিকায় রোনাল্ডো থেকে রাইকার্ড, মার্কো ফান বাস্তেনরা রয়েছেন। তিনি যখন ক্লাব কোচিং করতেন তখন স্নাইডার ছিলেন যুব দলে। নেদারল্যান্ডসের জাতীয় কোচ সেই রব বান ভারতে এসেছেন দু’বছরের চুক্তিতে। ফেডারেশনের টি ডি-র দায়িত্ব নিয়ে। পি এস ভি আইন্দোভেনের লাল জার্সি পরে আসা বান মূলত তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার জন্য কাজ করবেন। সে জন্যই ঘুরতে শুরু করেছেন ফুটবল স্কুল, অ্যাকাডেমি এবং ক্লাব। বলেও দিলেন, “জাতীয় কোচ স্যাভিও মিদেইরার সঙ্গে কথা হয়েছে। ও চাইলে তবেই পরামর্শ দেব। আগামী ছয় মাস আমি শুধু মাস্টার প্ল্যান তৈরি করব ফুটবলার তুলে আনার পথ ঠিক করতে।” |
যুবভারতীতে নতুন টিডি।-নিজস্ব চিত্র |
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন টিডির সাফ কথা, “ক্রিকেট, রাগবির দেশ অস্ট্রেলিয়া যদি আট-ন’বছরে বিশ্ব ফুটবলে ভাল জায়গা করে নিতে পারে তা হলে এখানে হবে না কেন?”
আটষট্টি বছরের বান এ দিন যুবভারতীতে বসে বলছিলেন, “অনেকেই আমাকে বলছেন ভারতের ফুটবলাররা মাথায় ছোট। অন্য গ্রহের ফুটবলার মেসির উচ্চতা কত? দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপে খেলা ঘানার গড় উচ্চতা কত ছিল? উচ্চতা ফুটবল মাঠে পারফরম্যান্সের বাধা হতে পারে না।”
বান ফেডারেশনের মাধ্যমে এমন কিছু অ্যাকাডেমি গড়তে চান যেখান থেকে ফুটবলার উঠবে। “১০-১২ বছরের ৩০-৩৫ জন থাকবে প্রতিটি অ্যাকাডেমিতে। থাকবে কোচিং টিম। যারা ভারতে প্রস্তাবিত ২০১৭ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হবে।” পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, “ভারতের দায়িত্ব নিচ্ছি শুনে আইন্দোভেন সব রকম সাহায্য করবে বলেছে। কোচ, অর্থ, টুর্নামেন্ট খেলার ব্যবস্থাসব।”
ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস বা অস্ট্রেলিয়া কোনও দেশের নীতি গ্রহণ করতে রাজি নন বান। বললেন, “এখানে ক্লাবের জার্সি পরলে প্রতিশ্রুতিমানরা গর্ব বোধ করে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। আসল কথা, ভারতে যেটা করা যায় সেটাই করতে হবে।” আরও এক-দু’দিন কলকাতায় থাকবেন জাতীয় টিডি। কথা বলবেন ক্লাব কোচেদের সঙ্গে। “ওঁরা ক্লাবগুলো দেখছেন। ওঁদের সঙ্গে কথা তো বলতেই হবে।” বলে দিলেন ভারতীয় ফুটবলের নতুন আলোকবর্তিকা! |