ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস) থেকে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বৃহস্পতিবার। বুধবার সকাল থেকে বিটিপিএস-এর ছাই ব্যান্ডেল, বাঁশবেড়িয়া এমনকী চুঁচুড়ার বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে উড়তে থাকে। বাড়িঘরে ছাইয়ের পুরু আস্তরণ জমে যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, খাওয়াদাওয়া করতে সমস্যায় পড়েন মানুষজন। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয় অনেকের। এ সবের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় বহু এলাকায়। পরে বিটিপিএস কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ছাই নিরোধক যন্ত্র ইএসপি বিকল হয়ে যাওয়াতেই ওই বিপত্তি। প্রশাসনের তরফে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে যোগাযোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার অবশ্য ওই পরিস্থিতি থেকে থেকে অনেকটাই মুক্তি মেলে। এ দিনও ছাই উড়লেও বুধবারের তুলনায় তা ছিল কম। মহকুমাশাসক (সদর) জলি চৌধুরী বলেন, “খারাপ হওয়া মেশিন দ্রুত সারানোর চেষ্টা করছেন বিটিপিএস কর্তৃপক্ষ। যেটুকু সমস্যা রয়েছে, ওই মেশিন ঠিক হয়ে গেলেই তা-ও থাকবে না। পরিস্থিতির উপর প্রশাসন নজর রাখছে।’’ মহকুমাশাসক জানান, এ দিন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের লোকজন এসে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন। এ নিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, মেশিন সারাই করা না গেলেও মানুষের ক্ষোভের বিষয়টি বুঝে ছাই ওড়ার পরিমাণ কমাতে এ দিন বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বিটিপিএস কর্তৃপক্ষ। তাতেই অনেকটা ফল মিলেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার গৃহবধূ শ্যামলী গুহ বলেন, “বুধবার যে ভাবে ছাইতে ঘর ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, তাতে আতঙ্ক তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার ছাই উড়লেও, তা ছিল খুবই কম। আমরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছি।” ব্যান্ডেলের গৃহবধূ অনন্যা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বুধবার কত বার যে ঘরদোর পরিষ্কার করতে হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। কাঁচা জামাকাপড় মেলতে দেওয়া যাচ্ছিল না। খাবার খাওয়া যাচ্ছিল না। লোকজনের বিশেষত শিশুদের সমস্যা হচ্ছিল বেশি। বৃহস্পতিবার ছাই অনেকটাই কমে যাওয়ায় সেই সমস্যা আর হয়নি।” |