|
|
|
|
কুড়ানকুলাম প্রকল্প হচ্ছে না ডিসেম্বরে |
সংবাদসংস্থা • চেন্নাই ও রামগড় |
বিক্ষোভের জেরে কুড়ানকুলাম প্রকল্পের উৎপাদন অন্তত তিন মাস পিছোলো। ডিসেম্বর থেকেই এখানকার প্রথম পরমাণু চুল্লিতে উৎপাদন শুরুর কথা ছিল। এখন জানা যাচ্ছে মার্চের আগে তা অসম্ভব।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী জানান, ১ নম্বর চুল্লি তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের জেরে বাকি কাজ করা যায়নি। রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ঠিকঠাক হয়নি। ফলে আপাতত চুল্লিটি চালু করা যাবে না। তবে মার্চ থেকে তা কাজ শুরু করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ে দিয়েছে, সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব এবং প্রয়োজনীয় নথি না পাওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করতে দেবেন না তাঁরা।
কুড়ানকুলাম প্রকল্পের অধিকর্তা আর এস সুন্দর আজ বলেন, “কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না। চুল্লির প্রতিটি যন্ত্রপাতিই খুব দামি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রয়েছে। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ সব দিকেই শুধু নজর রাখতে পারছেন কর্মীরা।” ৭ নভেম্বর কেন্দ্রের পাঠানো ১৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল তামিলনাড়ু প্রশাসনের একটি কমিটি। সেই সময় কেন্দ্রের কাছে প্রকল্পের সুরক্ষা বিষয়ে ৫০টি প্রশ্নের উত্তর চান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের নেতা এস পি উদয়কুমার জানান, যদি মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার কোনও আপত্তি না থাকে, প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁরা করতে দেবেন।
কুড়ানকুলামের পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ দিন পরমাণু বিপর্যয়ের ‘ন্যূনতম আশঙ্কা’ নিয়ে মুখ খুললেন পরমাণু শক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। চণ্ডীগড়ের কাছে রামগড়ে এক আলোচনাচক্রে তিনি দাবি করেন, পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে বিপদের শঙ্কা নেই বললেই চলে। তাঁর যুক্তি, “প্রতি বছর স্রেফ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার লোকের। যেখানে গোটা বিশ্বে প্রায় ১৪ হাজার পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে এবং তাতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫২ জনের।” শ্রীকুমারবাবু আরও বলেন, “সিটি স্ক্যান করলে পরমাণু কেন্দ্রে কাজ করার থেকে বেশি বিকিরণ সহ্য করতে হয় লোককে।” ফুকুশিমার বিপর্যয় প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির জেরেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার মতো বাস্তবে কিছুই হয়নি জাপানে।” |
|
|
|
|
|