|
|
|
|
মান্ডুতে জেডিইউ প্রার্থী, তৎপরতা বিজেপিতে |
সঞ্জয় চক্রবর্তী • রাঁচি |
ঝাড়খন্ডের মান্ডু বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে ‘শ্যাম রাখি না-কূল রাখি’ অবস্থায় পড়েছে রাজের বিজেপি নেতৃত্ব। উপনির্বাচনের মনোনয়পত্র পেশ করার সময়সীমা শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেও ঝাড়খন্ডের জোট-সরকারের প্রধান দুই শরিক বিজেপি এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) কেউই আসনটির দাবি ছাড়েনি। ইতিমধ্যে মান্ডু আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জোটধর্ম পালনের দায়িত্ব বিজেপির কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে জেএমএম। আবার জাতীয় রাজনীতিতে এনডিএর শরিক, জনতা দল (ইউনাইটেড)-ও মান্ডু উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, হাজিরবাগ জেলার মান্ডু আসনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার দাবি তো বিজেপি কর্মীদের রয়েছেই। শেষ পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের দাবি উপেক্ষা করা সম্ভব হলেও, ঝাড়খন্ডের জোট সরকারের শরিক জেএমএম এবং এনডিএ-র শরিক জেডিইউয়ের মধ্যে বিজেপি কাকে বাছবে, সেই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। উদ্ভুত এই জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলায় কিংকতর্ব্য স্থির করার দায়িত্ব নিজেদের হাতে আর রাখছে না বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এ নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সবিস্তার আলোচনা হয়। বৈঠকে মান্ডু আসনের উপনির্বাচনে দলীয় অবস্থান চূড়াম্ত করার ভার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী কোনও রকম রাখ ঢাক না-করেই বলেন, “মান্ডু আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। হাজিরাবাগ জেলায় দলের কর্মীরা মান্ডু আসনের দাবি ছাড়তে চাইছে না। তা ছাড়াও জেডিইউ এখানে প্রার্থী দিয়েছে।” দীনেশানন্দবাবু জানান, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাজারিবাগ সংসদীয় আসনে জয়ী হন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা। হাজারিবাগ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত মান্ডু বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। দলীয় কর্মীদের দাবি উপেক্ষা করা সম্ভব হলেও আরও দুটি জটিল সমস্যার জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। ঝাড়খন্ডের বিজেপি সভাপতি দীনেশানন্দবাবুর কথায়: সরকারের জোটসঙ্গী জেএমএম মান্ডু আসনে তাদের প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে। তৃতীয় সমস্যাটি আরও জটিল। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক জেডিইউ-ও মান্ডু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এক দিকে সরকারের শরিক জেএমএম-এর সঙ্গে জোটধর্ম পালনের তাগিদ, অন্য দিকে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা। এর পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতির মন্তব্য,“সব দিক বিবেচনা করে এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তবে মান্ডু আসনের উপনির্বাচনে সরকারের জোটসঙ্গী জেএমএম-এর সঙ্গে রফা না-হলেও তার বিরুদ্ধ প্রভাব সরকারের উপরে পড়বে না বলে মনে করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
তবে জেএমএম যে তেমনটাই ভাবছে না তা স্পষ্ট হয়েছে জেএমএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভট্টাচার্যর কথায়। তিনি বলেন, “মান্ডুর উপনির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে রফা না-হলে সরকারের উপর থেকে সমর্থন হয়তো তুলে নেওয়া হবে না। কিন্তু সরকারের নেতৃত্ব বদলের দাবি অবশ্যই জোরদার হবে।” |
|
|
|
|
|