|
|
|
|
মুম্বই পুরভোটে একা লড়তে চেয়ে কংগ্রেসকে চাপ পওয়ারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মুম্বইয়ের পুরভোটে একলা চলার বার্তা দিয়ে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন এনসিপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ার।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বই পুরসভার নির্বাচন। তার আগে এনসিপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল আজ বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না-গড়ার মনোভাব রয়েছে এনসিপি-র মধ্যে।” তাঁর বক্তব্য, এটা কোনও হুমকি নয়। আসলে দলীয় কর্মীদের এই মনোভাবের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট, মুম্বই পুরভোটের জন্য এনসিপি কতটা প্রস্তুত। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে দলের স্থানীয় নেতাদের নীতিগত আপত্তি নেই। কিন্তু আসন বণ্টনের বিষয়টি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে চান না তাঁরা। এই অবস্থায় জোট হবে কিনা, সে ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পটেল জানিয়েছেন।
প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক বাজেটের মুম্বই পুরসভার নির্বাচনের গুরুত্ব এ কারণেই যে এর ফলাফল রাজ্য রাজনীতিকেও প্রভাবিত করে। এই মুহূর্তে বিজেপি-শিবসেনা জোট সেখানে ক্ষমতায়।
প্রফুল্লের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতা আজ বলেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে এনসিপি-কংগ্রেস জোট থাকলেও ২০০২ ও ২০০৭-এ মুম্বই পুরভোটে জোট হয়নি। তাতে আখেরে বিজেপি-শিবসেনার লাভ হয়েছে। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের খুব একটা কিছু যায়-আসেনি। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের পক্ষে যেমন নেতিবাচক পরিস্থিতি, মুম্বই পুরভোটে ভাল ফল করলে খানিকটা মানসিক জোর পাওয়া যায়। সম্ভবত কংগ্রেসের সেই তাগিদ আঁচ করেই চাপ দিতে চাইছে এনসিপি।
তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের নির্বাচনে সর্বদাই স্থানীয় বিষয় ও স্থানীয় নেতাদের মত গুরুত্ব পায়। এবং মুম্বই কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরাও জোট চান না। কারণ, তা হলে তাঁদের হাতে কম আসন থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে মুম্বই পুরভোটে জোট হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সম্প্রতি শরদ পওয়ার ও প্রফুল্ল পটেলের সঙ্গে সনিয়া গাঁধী ও তাঁর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল এ বিষয়ে এক প্রস্ত কথা বলেছেন। তার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের সঙ্গেও কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এর পর প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের এক নেতা আজ বলেন, “একা লড়ে যে মুম্বই পুরবোর্ড দখল করতে পারবেন না, সেটা পওয়ার-পটেলরা ভালই জানেন। এ-ও বোঝেন যে, জোট হলে উভয়েরই ভাল হবে। ফলে প্রফুল্লের আজকের মন্তব্য নিতান্তই চাপের রাজনীতি। জোট হবে কি হবে তা নিয়ে দু’দনের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।”
কংগ্রেস-এনসিপি জোটে এই জটিলতার মধ্যে বিজেপি এবং শিবসেনা জোট আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। রামদাস অটওয়ালের রিপাবলিকান পার্টিকেও জোটে সামিল করেছে তারা। তবে বিজেপি-শিবসেনারও ভয় রয়েছে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে নিয়ে। কারণ রাজের ভোটের পরিমাণ যে ২০০৭ সালের থেকে বেড়েছে, সেটা গত বিধানসভা ভোটেই প্রমাণিত। |
|
|
|
|
|