তাঁদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ দিতে পারছেন না অথচ নতুন করে অনভিজ্ঞ কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অস্থায়ী কর্মীদের। এ ব্যপারে তাঁরা বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সমস্যাটি রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পনেরো জনের বেশি কর্মী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তঁদের অভিযোগ, কিন্তু তাঁদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব সময় কাজ দিতে পারছেন না। স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাও করছে না। অথচ অনভিজ্ঞ কর্মীদের নিয়োগ করে তাদের দিকে কাজ করানো হচ্ছে। নতুন করে কেন কর্মী নিয়োগ করা হল এবং অভিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে তাঁরা আপত্তি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখব কী হয়েছে।” হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সন্দীপ ভৌমিক অবশ্য বলেন, “চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সংখ্যা কম আছে। সৈই জন্য দীর্ঘদিন ধরে কয়েক জনকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করানো হয়। ওই সব কর্মীরা দৈনিক ৫০ টাকার মজুরিতে আর কাজ করতে চাইছেন না। কেউ কেউ কাজ করতে চাইলেও তাঁদের আবার সময় মতো পাওয়া যায় না। সেই জন্য কয়েক দিন আগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডাক্তারদের কলবুক পৌঁছে দেওয়া, নার্সদের ডেকে পাঠানো, রোগীদের স্যালাইন ও অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া, জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন চালু করে দেওয়া প্রভৃতি কাজের জন্য এক জনকে নিয়োগ করা হয়।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার ওই কর্মী শিশু বিভাগে কাজ করতে গেলে পুরনো কর্মীদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা বাধা দেন। তার পরেও ওই কর্মীকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।”
নতুন ওই কর্মী বলেন, “৯ দিন হল কাজ করছি। পুরুষ বিভাগে এ দিন জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন চালু করে দিয়েছিলাম। শিশু বিভাগে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুরনো কর্মীরা আমাকে বাধা দেন।” অস্থায়ী পুরনো কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, “আমাদের মধ্যে কেউ কেউ দশ বছর, কেউ আট বছর কাজ করছেন। আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে অনভিজ্ঞ কর্মীদের নিয়োগ করছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই সুপারের কাছে আপত্তি জানিয়েছি।’’ |