আইএনটিটিইউসির নামে আন্দোলনের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিস ঝুলিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। অথচ আইএনটিটিইউসির উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, ওই কারখানায় তাঁদের কোনও অনুমোদিত সংগঠনই নেই। এই অবস্থায় দশ দিন বন্ধ থাকার পরে শেষ পর্যন্ত সোমবার থেকে ফের উৎপাদন শুরু হচ্ছে দুর্গাপুরে সাইকেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায়।
প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুর্গাপুরের ওই কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। দক্ষ, অদক্ষ মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা একশো। বেতন ও অন্যান্য দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মী সংগঠনের চুক্তি হয় তিন বছরের জন্য। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কারখানার এমডি রতন অগ্রবাল বলেন, “আইএনটিটিইউসির নামে নিত্য নতুন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন কর্মীরা। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ এক দিন বিনা নোটিসে ধর্মঘট করেন কর্মীরা। বাধ্য হয়ে পরের দিন আমরা ‘সাসপেনশন অফ ওয়র্ক’ নোটিস ঝুলিয়ে দিই।” তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা এর পরেই আইএনটিটিইউসি-র উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ওই কারখানায় তাঁদের কোনও বৈধ সংগঠন নেই। যাঁরা আইএনটিটিইউসির নামে আন্দোলন করে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রভাতবাবু বলেন, “কারখানা বন্ধ রেখে কোনও আন্দোলন চলবে না। কারখানা চালু রেখে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কর্মীদের দাবি-দাওয়া মিটিয়ে ফেলতে হবে। তাতে কাজ না হলে ডেপুটি লেবার কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাবেন কর্মীরা।” এর পরে অবশ্য এই কারখানার আন্দোলনকারীদের নেতা খোকন রুইদাস জানিয়েছেন, এর পর থেকে উচ্চতর নেতৃত্বের কথা মতোই চলবেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হওয়া পুরনো চুক্তিই তাঁরা মেনে চলবেন।
কারখানার এমডি রতনবাবু জানিয়েছেন, বিষয়টি মিটে যাওয়ায় তাঁরা খুশি। কর্মীরা বাড়ি গিয়েছেন। ফিরতে সময় লাগবে। তাই আগামী সোমবার, ১৪ নভেম্বর থেকে ফের চালু হবে কারখানা। খুব শীঘ্র কারখানায় আরও ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাসও এই উপলক্ষে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক তাঁদের ১ লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে। |