তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল তুফানগঞ্জ কলেজ। বুধবার ওই ঘটনায় কলেজের ছাত্র সংসদের সহকারী সম্পাদক রামকুমার রবিদাস সহ ৩ জন জখম হন। তাদের সকলেই তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। এ দিন গোলমালের সময় কলেজের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ শহরের তার নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সজল সরকারের উপরেও একদল যুবক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তুফানগঞ্জে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি তথা ওই কলেজ পরিচালন কমিটির সদস্য হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দু’দল ছাত্রের গোলমালের ঘটনা শুনেছি। এমনকী ওই গোলমালের কথা শুনে কলেজের পড়ুয়া মেয়েকে আনতে যাওয়া চার নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকেও মারধরের ঘটনা হয়েছে। যারা শিক্ষাক্ষেত্রে এমন বিশৃঙ্খলা করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদ সম্পাদক বদল নিয়ে বেশ কিছু ধরে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর গোলমাল চলছে। সম্প্রতি কলেজে সংঘর্ঘের ঘটনাও ঘটে। টিএমসিপি জেলা সভাপতি ও কলেজ ইউনিটের নেতা গণেশ দে’র অনুগামীদের ওই গোলমাল নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। টিএমসিপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সমীর চক্রবর্তী বলেন, “গণেশ দে’র নেতৃত্বে কলেজের সংসদ সহ-সম্পাদক সহ কয়েকজনের উপর হামলা হয়। রাজ্য নেতৃত্বের নিদের্শে এ দিন গণেশ সহ ৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” কলেজ ইউনিটের নেতা গণেশ দে অবশ্য বলেন “জেলা সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গোলমালে এ দিন সংঘর্ষ হয়। আমাদের উপর দায় চাপানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাছাড়া কলেজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরাই লড়ছিলাম। তার জন্য বহিষ্কার করা হলে কি আর করা যাবে।” তৃণমূল কংগ্রেসের চার নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সজল সরকারের উপর হামলার ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চায়নি। চার নম্বর ওর্য়াড সভাপতি সজলবাবু বলেন, “গোলমালের খবর পেয়ে মেয়েকে আনতে কলেজে যাই। আচমকা একদল ছেলে এসে আমার উপর চড়াও হয়। ব্যাপক কিল, ঘুষি মারতে থাকে। পুলিশের সামনেই ঘটনা হয়েছে। তবে কারা ওই হামলা করেছে বুঝতে পারছি না।” কোচবিহারের এসপি প্রণব দাস বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।” |