তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মোটর শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে মারপিটের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকা। আইএনটিইউসি সমর্থক এক বেসরকারি মিনিবাসের কন্ডাক্টরকে বাস থেকে নামানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের আইএনটিটিইউসির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে বুধবার বেলা ১০ টা নাগাদ চকভৃগু বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাতাহাতিতে দু’পক্ষের ৬ জন অল্প বিস্তর আহত হন। প্রতিবাদে কংগ্রেসের তরফে চকভৃগু তিন মাথার মোড়ে পথ অবরোধ করলে পাল্টা বিক্ষোভে নেমে তৃণমূল সমর্থকেরা অবরোধ তুলতে গেলে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারমুখি দু’পক্ষকে হটিয়ে দিলে আধ ঘন্টা বাদে পথ অবরোধ উঠে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দলীয় সূত্রের খবর, সরকার পরিবর্তনের পরে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বেড়েছে। জোট সরকারের দু’দলই সংগঠন বাড়াতে বালুরঘাটে উঠেপড়ে লেগেছে। সদস্য ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সদস্য-সমর্থকদের সঙ্গেই এ দিন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কাজিয়ার শুরু স্বরূপ রায় নামে ওই কন্ডাক্টরকে ঘিরে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অমল দত্তের অভিযোগ, “দলের সমর্থক ওই কন্ডাক্টরকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হয়। তিনি আপত্তি জানানোয় এ দিন কর্মরত স্বরূপবাবুকে বাস থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই দাদাগিরির প্রতিবাদে কর্মী-সদস্যরা অবরোধে নামেন।” আইএনটিটিইউসির ইউনিট সভাপতি চন্দন চৌহান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মাসে চার দিন প্রত্যোক বাস শ্রমিকের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই কন্ডাক্টর ওই ছুটি না নিয়ে কাজে যোগ দেন। এতে আপত্তি জানানোয় কংগ্রেস থেকে পথ অবরোধ করে। স্কুল ও অফিস সময়ে মানুষের অসুবিধা করে অহেতুক পথ অবরোধের বিরোধিতা করা হয়। হামলার অভিযোগ মিথ্যা।” বিষয়টি নিয়ে জেলা স্তরে কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “এ ধরণের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “দলের মধ্যে এ সব চলবে না। নেতৃত্বকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলছি।” |