কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে কোচবিহার রাসমেলা। পনেরো দিন মেলা চলবে। মেলার উদ্বোধন করবেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী। এ দিন রাতে প্রথা মেনে উপোস থেকে মদনমোহন মন্দিরে পুজোর পরে রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসবেরও সূচনা করবেন দেবত্তর ট্রাস্ট বের্ডের সভাপতি তথা জেলাশাসক। তিনি বলেন, “এর আগে কখনও এমন সুযোগ পাইনি। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।” কোচবিহার শহরের এমজেএন স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠে উৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এখানে ভিড় করবেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়। অসম থেকেও প্রচুর পূণ্যার্থী আসবেন। |
পূর্ণিমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। মেলা ময়দানে ছবি দু’টি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
তাঁদের নিপত্তার জন্য এ বার কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। মেলার প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে ‘মেটাল ডিটেক্টর’। পূণ্যার্থীদের তল্লাশি করে তবেই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সন্দেহজনক গতিবিধির উপরে নজরদারির জন্য মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে ছয়টি ক্লোজ সার্কিট টিভি। প্রতিদিন প্রশিক্ষিত কুকুর নামিয়ে তল্লাশির পরিকল্পনাও রয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের একটি দল মেলার দিনগুলিতে কোচবিহারে থাকবে। কোথাও সন্দেহজনক কোনও বস্তু পড়ে থাকতে দেখলে ওই স্কোয়াডের কর্মীরা পরীক্ষা করে দেখবেন। মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও লকআপ। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিরাপত্তার ফাঁক রাখা হবে না। সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ কোচবিহার রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে দিনভর উপোস থেকে পুজোয় বসবেন জেলাশাসক। রীতি মেনে তিনি রাসচক্র ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা করবেন। মেলার আয়োজক কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের মেলায় দু’হাজারের বেশি স্টল থাকবে। বেশিরভাগ স্টল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার তাবু ফেলেছে সার্কাস। এ ছাড়াও থাকছে নাগরদোলনা, টয়ট্রেন সহ অনেক কিছু। স্টল সাজিয়ে বসেছে মাটির সামগ্রী থেকে অনেক কিছুই। রসনা তৃপ্তির জন্য থাকছে রকমারি খাবারের দোকান। সাধারাণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শহরের বিভিন্ন ডিপো থেকে শতাধিক মেলা স্পেশাল বাস চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মেলা জমে উঠলে রাত ১২টা পর্যন্ত বাস চলবে।” |