মেডিসিনে আজ নয়া ডাক্তার বাঘা যতীনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেডিসিনের একমাত্র চিকিৎসক প্রবীরকুমার ঘোষ সাসপেন্ড হওয়ায় ওই বিভাগ কার্যত অনাথ হয়ে পড়েছে। তাই মেডিসিন বিভাগে রোগী ভর্তিই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অচলাবস্থা কাটাতে আজ, বৃহস্পতিবার এম আর বাঙুর হাসপাতাল থেকে এক এক চিকিৎসককে পাঠানো হচ্ছে সেখানে। তপনকুমার মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসকও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
গত রবিবার বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মদ খেয়ে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছিল সেখানকার একমাত্র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রবীরবাবুর বিরুদ্ধে। সে-দিনের ঘটনার পরেই তাঁকে কাজে যোগ দিতে নিষেধ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তার পর থেকে কার্যত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াই চলছিল ওই হাসপাতাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না-পেরে নোটিস দিয়ে মঙ্গলবার থেকে মেডিসিন বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এম আর বাঙুর থেকে তপনবাবুকে ‘রিলিজ’ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বাঘা যতীন হাসপাতালে দায়িত্ব নেবেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে ওই চিকিৎসককে বদলি করায় বাঙুর হাসপাতালেও ডাক্তার কমে যাচ্ছে। ফলে সমস্যার মুখোমুখি বাঙুরও। সেই সমস্যার মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, সমস্যা তো হবেই। বাঙুর হাসপাতালে পাঁচ জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এক জন কমে গেল। আপাতত ওই চার জনকে নিয়েই চালাতে হবে। ‘মদ্যপ’ অবস্থায় হাসপাতালে রোগী দেখার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রবীরবাবুর সাসপেনশনের চিঠিটি এ দিনই দুপুরে সল্টলেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেয়ে প্রবীরবাবু বলেন, “সরকারের কাছে আর্জি, ওই হাসপাতালে সর্বক্ষণের জন্য এক জন ভাল চিকিৎসককে দেওয়া হোক।”
অভিযুক্ত ডাক্তারের কাছে সাসপেনশনের চিঠি পাঠানো হলেও তাঁর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষার রিপোর্ট বুধবারেও পাওয়া যায়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক জানান, ওই রিপোর্ট আসবে পুলিশের কাছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিশ্বরূপ ঘোষ বলেন, “এখনও রিপোর্ট আসেনি।” |