নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রাস্তা দখল করে নানা ধরনের দোকান বসানোর রুখতে পুলিশ-প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানালেন দার্জিলিং মোড় লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, ওই এলাকায় রোজই যানজট হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। এক মাসের মধ্যে ৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসিন্দাদের তরফে বিষয়টি নেতা-মন্ত্রীদের কাছেও জানানো হয়েছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার আশ্বাস দেওয়া হলেও দার্জিলিং মোড় লাগোয়া এলাকায় রাস্তা দখল রুখতে উদ্যোগী হননি কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই এলাকায় জাতীয় সড়ককে দখল মুক্ত করতে শীঘ্রই অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর ও প্রশাসন। বুধবার শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার আইসি দীপঙ্কর সোম অফিসারদের নিয়ে দখলদারদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, জাতীয় সড়ক দখল করে বসে থাকা দোকানিদের দু’সপ্তাহের মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। |
অভিযান চালানোর আগে দখলদারদের সময়সীমা জানাচ্ছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পূর্ত দফতর রাস্তা দখলমুক্ত করবে বলে জানিয়েছে। তাদের সবরকম সাহায্য করবে পুলিশ। সে জন্য দখলদারদের প্রথমে সময় দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় হল দুটি জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল। একদিকে দার্জিলিঙে চলে গিয়েছে ৫৫ এ নম্বর জাতীয় সড়ক। আরেকদিকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওই ব্যস্ততম মোড় লাগোয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের দুধার ক্রমশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। কয়েকজন নিত্যযাত্রী জানান, নানা ধরনের দোকান রাস্তা দখল করে হওয়ায় গাড়ি চলাচল মুশকিল হয়ে পড়ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। সম্প্রতি এক ফলবিক্রেতা গাড়ির ধাক্কায় জখমও হন। তার উপরে রয়েছে যথেচ্ছভাবে ‘পার্কিং’। সিটি অটো, ছোট গাড়ি জাতীয় সড়কের দারে দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা চলে। রেষারেষির জেরে রাস্তা আটকে যায়। তাতে যানজটে জেরবার হন নিত্যযাত্রীরা। বাসিন্দাদের সমস্যার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশাসন দখলদার উচ্ছেদের অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিলেও তা কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে অবশ্য ভুক্তভোগীদের সংশয় রয়েছে। যেমন ওই রুটের একাধিক বাস চালক জানান, আগেও বামেদের আমলে দার্জিলিং মোড়কে দখল মুক্ত করার কথা হয়। কিন্তু, অভিযান শুরুর পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল জোট শিলিগুড়ি পুরবোর্ড গঠনের পরে কোর্ট মোড়কে দখল মুক্ত করতে অভিযানে নামেন কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেব। রাতারাতি কোর্ট মোড়ের চেহারা পাল্টে যায়। কিন্তু, তার পরেই তৃণমূলের এক কাউন্সিলর দখলদারদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামেন। ওই কাউন্সিলরের বিরোধিতায় কোর্ট মোড় দখলমুক্ত হয়নি বলে পুরসভা সূত্রেই জানানো হয়েছে। দার্জিলিং মোড় দখলমুক্ত করা গেলে ফের কোর্ট মোড়ের রাস্তার হালও ফেরানো যাবে বলে পুরসভার তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলরই মনে করেন। |