উন্নয়নের কাজে গতি আনতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়ে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই উদ্দেশ্যে চলতি সপ্তাহে এ বার তিনি যাচ্ছেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও বর্ধমানে। আজ, বৃহস্পতিবারেই রওনা হচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় তাঁর ওই ৪ জেলা সফর হবে দু’দিনের। তাঁর সঙ্গে যাবেন উন্নয়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত ১৮টি দফতরের মন্ত্রী ও সচিবেরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়া রাজ্যের বাকি দু’টি মাওবাদী প্রভাবিত জেলা হচ্ছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ওই দুই জেলায় এই প্রথম প্রশাসনিক স্তরের বৈঠক করতে চলেছেন মমতা। ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে কাল, শুক্রবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বিকেলে ওই জেলারই বলরামপুরে জনসভায় বক্তৃতাও দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বলরামপুরেই গত সপ্তাহে জিতু সিংহ নামে এক তৃণমূলকর্মী খুন হন। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান চার মাস বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরিণতিতে খুনখারাপি বাড়তে থাকলে যৌথ বাহিনীর অভিযান ফের চালু করতে হবে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক গুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। আসন্ন জেলা সফরেও তিনি এক ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে রওনা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছবেন দুর্গাপুরে। পরের দিন, শুক্রবার দুপুরে পৌঁছবেন পুরুলিয়ায়। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভার পরে সন্ধ্যাতে বাঁকুড়ায় গিয়ে সেই জেলার উন্নয়ন নিয়ে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা।
সব জেলাতেই মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও-রা উপস্থিত থাকবেন। শুক্রবার রাতে ফের দুর্গাপুরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। শনিবার দুর্গাপুর থেকে প্রথমে বীরভূমের সিউড়িতে গিয়ে ওই জেলার উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। বিকেলে সিউড়ি থেকে বর্ধমানে পৌঁছে বর্ধমান জেলার উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। সে-দিন রাতে বর্ধমান থেকে তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে-১৮টি দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের জেলা সফরে যেতে বলা হয়েছে, সেগুলি হল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ, খাদ্য, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, বিদ্যালয় শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, পূর্ত, পুর, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, নারী ও শিশু কল্যাণ, সেচ, ক্ষুদ্র সেচ, পরিবহণ, স্বনিযুক্তি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি। |