ধর্না প্রত্যাহার করলেন খাতড়া আদিবাসী কলেজের শিক্ষাকর্মীরা। বুধবার মহকুমাশাসকের (খাতড়া) অফিসে বৈঠকের পরে তাঁরা ধর্না প্রত্যাহার করে নেন। কলেজ তহবিল থেকে মাসের প্রথমে তাঁদের বেতন দেওয়ার দাবি এবং টিচার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার থেকে কলেজের অফিস ঘরের সামনে তাঁরা ধর্নায় বসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, কলেজের তহবিল থেকে শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতে অস্বীকার করার পাশাপাশি পুজোর বোনাসও তাঁদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে শিক্ষাকর্মীদের দু’টি সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ কলেজ কর্মচারী সমিতি’ ও ‘শিক্ষাকর্মী ইউনিয়ন’ মিলিতভাবে ‘শিক্ষাকর্মী সংসদ’-এর ‘ব্যানারে’ ধর্না আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
আন্দোলনকারীদের তরফে খাতড়া কলেজের গ্রন্থাগারিক প্রণব হাজরা বলেন, “মহকুমাশাসকের অফিসে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি শীঘ্রই কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর আশ্বাসে আপাতত ধর্না প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, কলেজের কিছু কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। টিচার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কলেজের টিচার ইন-চার্জ অলক ভৌমিক বলেন, “ব্যস্ত রয়েছি। এ সব নিয়ে কিছু বলব না।” খাতড়ার মহকুমাশাসক তথা ওই কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “শিক্ষাকর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এছাড়া টিচার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে তাঁরা কিছু অভিযোগ জানিয়েছেন। শীঘ্রই পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকার জন্য টিচার ইন-চার্জকে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, কলেজের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে পরিচালন সমিতির সভায় আলোচনা করা হবে। |