প্রাক্তন ছাত্রর দানে বিদ্যুদয়ন হল সোনামুখী পাঁচাল হাইস্কুলে। ফলে গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা যেমন পাখার সুবাতাস পেল, তেমনই আলো জ্বলল শ্রেণিকক্ষে। খুশি পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক সকলেই।
দিল্লিতে একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত পাঁচাল গ্রামের কৃতী সন্তান প্রাক্তন ওই ছাত্রের নাম মৃণালকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলের বিদ্যুদায়নের জন্য এক লক্ষ একচল্লিশ হাজার টাকা পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক বিজয়কুমার কুণ্ডু এবং স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়
|
মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় |
বলেন, “জেলার অন্যতম প্রাচীন এই স্কুলে নানা সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুদয়ন জরুরি ছিল। আমাদের প্রাক্তন ছাত্র মৃণালবাবু এগিয়ে আসায় সেই সমস্যার সুরাহা হল। এই মহতী কাজে এগিয়ে আসায় আমরা তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক সুব্রত সরকার এবং এলাকার বহু শিক্ষানুরাগী মানুষ।
দশম শ্রেণির সৈকত কুণ্ডু এবং সপ্তম শ্রেণির অর্ণব চট্টোপাধ্যায়দের কথায়, “গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হত আমাদের। তা থেকে মুক্তি পেয়ে ভাল লাগছে।” ওই স্কুলের শিক্ষক সুব্রত সরকার বলেন, “মৃণালবাবুর দেওয়া টাকায় বিদ্যুদায়ন হল। তাঁকে আমারা কৃতজ্ঞতা জানাই।”
টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে দিল্লি থেকে মৃণালবাবু বলেন, “ওই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমি পড়েছি। পরে দুর্গাপুর এন আই টি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দিল্লিতে চলে আসি। তার পর একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি সূত্রে বিদেশেও কিছুকাল থেকেছি। সম্প্রতি স্কুলের ওই সমস্যার কথা শুনি। ছাত্রছাত্রীরা অসুবিধা ভোগ করছে জেনে বিদ্যুতায়ন খাতে সব টাকা দেবো বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।”
সেই কাজ বাস্তবায়িত হওয়ায় নিজের ভাল লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি। মৃণালবাবু বলেন, “আমার জন্মভূমি ওই গ্রামকে ঘিরে আরও অনেক স্মৃতি রয়েছে। এলাকার উন্নয়নে আরও কিছু করতে পারলে ভাল লাগবে।” |