প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন খোদ উপ-প্রধান। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে। উপ-প্রধান খোকন করের অভিযোগ, “অন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত প্রধান বিভিন্ন কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সদ্য ৩ লক্ষ টাকায় এই পঞ্চায়েত এলাকার বনগ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ হল। কিন্তু এই কাজ শুরুর আগে তিনি পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেননি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার হিসাব দেখাতে হবে।” |
বাইরে পঞ্চায়েতের কর্মীরা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ। |
বেলিয়াতোড় পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান চন্দনা রায়ের দাবি, “উপ-প্রধানের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে! দুর্নীতির দায়ে ওই উপ-প্রধান সম্প্রতি তাঁর দল বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। আমি কখনওই অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা না বলে কাজ করি না। আমার বিরুদ্ধে উনি চক্রান্ত করছেন।” উল্লেখ্য, ১৩ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে সিপিএমের ৭, তৃণমূলের ৪ এবং উপপ্রধান-সহ বিজেপি-র দুই সদস্য রয়েছে। অন্যতম বিজেপি সদস্য চঞ্চল সিংহ বলেন, “বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খোকনবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দিন পঞ্চায়েতে এসে দেখি দরজায় তালা বন্ধ। তৃণমূলের পতাকা টাঙানো। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে দেওয়ালে।”
অন্য দিকে, পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা, তৃণমূলের যাদবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “খোকনবাবু এখন আমাদের দলের কর্মী। আমরা ওঁর সঙ্গে আছি। আমরাও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” যদিও তৃণমূলের বেলিয়াতোড় অঞ্চল সভাপতি সুশান্ত কর আলাদা কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি শুনেছি, ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে তাঁর দল বহিষ্কার করেছে। তবে উনি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, এ কথা ভুল। পঞ্চায়েতে ঠিক কী হয়েছে, আমি জানি না।” বড়জোড়ার বিডিও দেবারতি সরকার ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। |