কেশপুরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক
উন্নয়নের টাকা নয়ছয়ের নালিশ
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ আনল স্কুল পরিচালন সমিতি। ঘটনাটি কেশপুরের খাসবাড় হাইস্কুলের। অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবপ্রসাদ মিদ্যা সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করেছেন। কোনও হিসেবও দিতে চাননি। প্রধান শিক্ষক অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
কেশপুরের ওই স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক নীলমাধব পড়িয়া বলেন, “বিভিন্ন ধাপে সাংসদ তহবিল থেকে স্কুলভবন নির্মাণের জন্য অর্থ পেয়েছিল স্কুল। কিন্তু কী ভাবে সেই টাকা খরচ হয়েছে, তার হিসেব চাইলে তা দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক।” বুধবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়েই জেলাশাসকের অফিসে আসেন নীলমাধববাবু। জানতে পারেন, গত অগস্ট মাসে সাংসদ তহবিলের ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা তুলেছেন প্রধান শিক্ষক। নীলমাধববাবু বলেন, “ওই ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা কোথায় খরচ করেছেন তার কোনও হিসাবই দিতে পারেননি। উল্টে বলেছেন টাকাই তোলেননি।” যদিও দেবাশিসবাবুর দাবি, “সব হিসাবই আমার কাছে রয়েছে। তবু মিথ্যে অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
হিসেবপত্র নিয়ে কিছুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পরিচালন সমিতির বিবাদ চলছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ ঘোড়ুই ইস্তফা দেন। গ্রামবাসীরা তার আগে থেকেই হিসেব চাইতে শুরু করেছিলেন। প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে ৫টি ক্লাসরুম-সহ দোতলা ভবন তৈরি হয়েছিল। তার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে পাওয়া প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এর কোনও নথি প্রধান শিক্ষক দেখাতে পারেননি বলে স্কুল-সম্পাদকের অভিযোগ। বৃত্তিমূলক শাখার পরিকাঠামো উন্নয়ন, ছাত্রছাত্রীদের মাসিক ভাতার জন্য বরাদ্দ টাকাতেও গরমিলের অভিযোগ রয়েছে।
এ দিন স্কুল-সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক জেলাশাসকের দফতরে আসার পর অর্থ নয়ছয়ের খবর রটে যায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা কালেক্টরেটে ভিড় জমান। প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কোতয়ালি পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.