|
|
|
|
সিআইডি-তদন্তের মধ্যেই নন্দীগ্রামে স্মরণসভা আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামে জমি-রক্ষা আন্দোলন-পর্বে ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র মিছিলে হামলা চালিয়েছিল সিপিএমের বাহিনী। হামলায় নিহতদের স্মরণে গত তিন বছরের মতো আজ, বৃহস্পতিবারও গোকুলনগরে সভার আয়োজন করেছে ভূমি-কমিটি। সকালে প্রথমে তেখালি সেতু থেকে মিছিল শুরু হবে। মিছিল যাবে গোকুলনগরের করপল্লিতে। এখানেই ভূমি-কমিটির মিছিলে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই হবে স্মরণসভা। উপস্থিত থাকবেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক সৌমেন পাল। বিকেলে হাজরাকাটাতেও সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি-কমিটির নেতা তথা নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সহ-সভাপতি আবু তাহের। গত তিন বারের থেকে এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। ভূমি-কমিটির প্রধান শক্তি যে তৃণমূল, তারাই এখন রাজ্যের শাসন ক্ষমতায়। স্বভাবতই চার বছর আগের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি এবং হতাহতদের পরিজনেদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জোরালো হয়েছে।
চার বছর আগের ওই ঘটনায় নিহত হন মহম্মদপুরের বইচবাড়ি গ্রামের রেজাউল ইসলাম ও কালীচরণপুরের শ্যামলী মান্না। পরে মহেশপুরের পারুলবাড়িতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছিল কমলপুরের হরেন প্রামাণিকের দেহ। কিন্তু এত দিন পরেও ‘নিখোঁজ’ই রয়ে গিয়েছেন গোকুলনগরের আদিত্য বেরা, সাউদখালির ভগীরথ মাইতি, সোনাচূড়ার নারায়ণ দাস প্রমুখ। নিখোঁজদের কী পরিণতি হয়েছে, জেলা পুলিশ তা জানাতে না পারায় সম্প্রতি সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই তদন্ত-সূত্রে কয়েক দিন ধরে সিআইডি দল রয়েছে নন্দীগ্রাম-খেজুরিতে। খেজুরির প্রাক্তন সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য এক ভুটভুটি মালিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।
বুধবার ২ আলোকচিত্রী-সহ সিআইডি-র ৫ সদস্যের দল সোনাচূড়া, সাউদখালিতে গিয়ে আহতদের সঙ্গে ও নিখোঁজ ভগীরথ মাইতির স্ত্রী সুষমা মাইতির সঙ্গে কথা বলে। সে দিন আহত ভিকেন গায়েনকে সঙ্গে করে তেখালি হয়ে খেজুরির আমড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও যান তাঁরা। নন্দীগ্রাম থেকে আহতদের এই স্কুলেই আনা হয় বলে অভিযোগ। ভিকেন গায়েন, যাদব পাল ও কল্পনা মুনিয়ানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খেজুরি থেকে গাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে এগরায় ধরা পড়েন গড়বেতার তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ ১২ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। সেই মামলা চলছে। ২০০৭-এর ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে নিহত, আহতের পরিজনেরা ক্ষতিপূরণ পেলেও নভেম্বরে সিপিএমের ‘পুনর্দখল’ অভিযানের সময়ে নিহত-আহতদের পরিজনেরা ক্ষতিপূরণ পাননি। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে সেই দাবি জোরালো হয়েছে। |
|
|
|
|
|