৯ নভেম্বর ২০০৮। চার্চিল ব্রাদার্সের চাকা থামিয়েছিলেন লালম পুইয়া ও মার্কোস পেরেরা। মোহনবাগানের স্মৃতির ভিড়ে দু’জনেই এখন অতীত।
৯ নভেম্বর ২০১১। পাক্কা তিন বছরের মাঝে অনেক জল গড়িয়েছে। প্রচুর ফুটবলার এসেছে, গিয়েছে। কিন্তু চার্চিলের লাগাম আর ধরতে পারেনি মোহনবাগান। তিন বার হার, বাকি তিন ম্যাচে বড়জোর ড্র। কিন্তু আর নয়। বৃহস্পতিবার যুবভারতীতেই তিন বছরের লম্বা অপেক্ষায় দাঁড়ি টানতে চাইছেন মোহন টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য। সে তাঁর ছেড়ে আসা দলের বিরুদ্ধে যতই আজ খেলতে না পারুন গোলমেশিন ওডাফা ওকোলি। কিংবা অন্তত প্রথম থেকে শুরু করতে না পারুন বাগানের সবুজ তোতা ব্যারেটো। এহেন পরিস্থিতিতে তিন বছরের খরা কাটাতে সুব্রতর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার পরিবর্তন। বুধবার দু’ঘণ্টার কঠোর অনুশীলনে প্রায় স্পষ্ট করে দিলেন প্রথম দলের দৃশ্যমালাটা। যেখানে ঘটতে চলেছে এক অপরিহার্য ফুটবলারের প্রত্যাবর্তনও। এ বারের আই লিগে প্রথম মাঠে নামবেন সুরকুমার সিংহ।
আরও তিনটে পরিবর্তন হতে চলেছে দলে। ব্যারেটো সুস্থ হয়ে উঠলেও বড় ম্যাচের কথা মাথায় রেখে তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চেই রাখছেন সুব্রত। প্রয়োজনে নামবেন। তবে রক্ষণে কিংশুক এবং সুরকুমারের পাশে থাকছেন আনোয়ার ও ধনরাজন। রাকেশ মাসি এবং সৌরভ চক্রবর্তীর জায়গায় ঢুকছেন দু’জনে। মাঝমাঠে হাদসন লিমা, জুয়েল রাজা এবং নবির পাশে থাকছেন এন প্রদীপ। আহত মণীশ মৈথানির পরিবর্তে। ফরোয়ার্ডে সেই সুনীল-অসীম জুটি। গোলে সংগ্রাম। যার অর্থ, মাত্র এক জন বিদেশি হাদসনকে দিয়ে শুরু করবে সবুজ-মেরুন। কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, “আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই নামছি। দলে অনেকগুলো পরিবর্তন করব ঠিকই। তবে প্রথম এগারো এখনও চূড়ান্ত হয়নি।” |
আই লিগে গত তিন বছর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকলেও এই ম্যাচের আগে কিন্তু সমস্যার-চাদরে ঢাকা চার্চিল কোচ ম্যানুয়েল গোমস। একেই তো দলের প্রধান ভরসা রবার্তো মেন্ডিস সিলভা ওরফে বেটো নেই। চোটের লম্বা তালিকায় ব্রাজিলীয় তারকা মিডফিল্ডারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাম তুলেছেন মহম্মদ রফি, বিলিশ বালান এবং ইয়ামনাম রাজু। গোদের উপর বিষফোঁড়া হল, কার্ডের বেড়াজালে আটকে পড়েছেন গোলের মধ্যে থাকা নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার এন ডি ওপারা এবং নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার লালরিন্দিকা। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, আঠারো জনের দলও জোগাড় করতে পারেননি ম্যানুয়েল। ষোলো জন ফুটবলারকে নিয়ে খেলতে এসেছেন। যদিও বিপক্ষের শক্তি আর দুর্বলতা বোঝার জন্য কোনও ত্রুটি রাখছে না মোহনবাগান। নবিদের কথাবার্তাতেই পরিষ্কার, বেটো না থাকলেও চার্চিলের তিনটে ব্যাপারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। অস্ট্রেলীয় স্টপার আন্টুনের দৌড়। স্টিভন ডায়াসের ফাইনাল পাস এবং বাঁ প্রান্তে হেনরির মুভমেন্ট। বহিরঙ্গে প্রকাশ না পেলেও, বেটো খেলতে পারবেন না বলে বাগানের অন্দরমহলে খানিকটা স্বস্তির হাওয়া কিন্তু বইছেই।
ব্যা-ও জুটিকে ছাড়াই এমন সুযোগ চার্চিলকে হারানোর আর কবে পাবে সুব্রতর মোহনবাগান?
পৈলানের ড্র: গোয়ার মাঠে স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়াকে আটকে দিল পৈলান অ্যারোজ। এ দিন স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল সুখবিন্দর সিংহের দল।
|
বৃহস্পতিবারে
আই লিগ- মোহনবাগান: চার্চিল ব্রাদার্স (যুবভারতী, ৬-৩০), প্রয়াগ ইউনাইটেড : হ্যাল (বেঙ্গালুরু),
চিরাগ কেরল : ডেম্পো (কেরল), সালগাওকর : মুম্বই এফ সি (মারগাও), এয়ার ইন্ডিয়া : লাজং (ইম্ফল)। |