|
|
|
|
ডেবরা-সবং রাস্তার হাল ফেরানোর দাবি জনতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। ছোট-বড় গর্ত। হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ ডেবরা থেকে সবং যাওয়ার রাস্তা সংস্কারের কোনও উদ্যোগই নেই।
স্বভাবতই ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য খবর, সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি ‘সেন্ট্রাল রোড ফান্ড স্কিম’-এ নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু এখনও তা মঞ্জুর হয়নি। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী বলেন, “রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা হচ্ছে।”
ডেবরা-সবং এই রাস্তাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির অন্যতম। একটা সময় দুই মেদিনীপুরের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই সড়ক। এখনও অবশ্য গুরুত্ব কমেনি। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই ডেবরা। ডেবরা থেকে পটাশপুর রুটে বাস চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি দীর্ঘ দিনের। পিচ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ফলে, প্রায়ই দুর্ভোগে পড়তে হয়ে পথচলতি সাধারণ মানুষকে। |
|
ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
রাস্তাটির পাশেই বালিচক, মুণ্ডুমারির মতো এলাকা। যেখানে এখন বসতি বেড়েছে। সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে ভিড় থাকে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামত না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ সকলেই।
ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি বলেন, “রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। অবিলম্বে সংস্কার-কাজ শুরু হওয়া জরুরি।” ডেবরার বাসিন্দা উদয় দণ্ডপাট বলেন, “রাস্তাটি সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। অথচ মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেই।” তাঁর কথায়, “এক বার শুনেছিলাম, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু, কোথায় কী!” আরেক বাসিন্দা মলয় দে বলেন, “রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠলে শুধু আশ্বাসই মেলে। এতটুকুও কাজ হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতের ক্ষেত্রে এতো টালবাহানা কেন বুঝতে পারছি না।”
ছোট-বড় গর্ত মাঝেমধ্যে মেরামত করা হলেও রাস্তার সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন হয়নি বলেই অভিযোগ। গত বর্ষায় আবার জল জমে রাস্তাটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবংয়ের কংগ্রেস নেতা বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “এখন গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। রাস্তার যা হাল তাতে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” তাঁর কথায়, “ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। যত শীঘ্র কাজ শুরু হয় ততই ভাল।” |
|
|
|
|
|