|
|
|
|
সিঙ্গুর শুনানি |
আইন না মেনেই জমি অধিগ্রহণ, সওয়াল টাটাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আইনি প্রক্রিয়া না-মেনেই রাজ্য সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের জমির দখল নিয়েছে বলে বুধবার হাইকোর্টে অভিযোগ করলেন সংস্থার আইনজীবী সমরাদিত্য পাল।
বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ এবং বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে সমরাদিত্যবাবু বলেন, বাম সরকার গাড়ি কারখানার জন্য সিঙ্গুরের জমি টাটাকে লিজ দিয়েছিল। বর্তমান সরকার সিঙ্গুর আইন প্রণয়ন করে ওই জমির দখল নেয়। রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল, জমি খাস করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই জমি খাস করা হয়নি। অধিগ্রহণই করা হয়েছে।
জমি যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তা সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মখোপাধ্যায়ের রায়েই পরিষ্কার বলে সমরাদিত্যবাবু মন্তব্য করেন। বিচারপতি মুখোপাধ্যায় তাঁর রায়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি ও সময়ের উল্লেখ করেছেন। সমরাদিত্যবাবুর যুক্তি, অধিগ্রহণ না হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তাঁর প্রশ্ন, জমি অধিগ্রহণ যখন করা হল তখন কেন্দ্রীয় আইন মেনে করা হল না কেন।
বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ বলেন, টাটা জমি ফেরত দিতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল। টাটার বক্তব্য কী? সমরাদিত্যবাবু বলেন, টাটা ৩টি চিঠি দেয় রাজ্যকে। সিঙ্গুর ছেড়ে যে তারা স্বেচ্ছায় চলে যায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছে, সে কথা তারা জানিয়েছিল। পরবর্তী কালে টাটারা রাজ্যকে জানায়, ওই জমি নিয়ে তারা কী করবে, তা নিয়ে কিছু প্রস্তাব তাদের বিবেচনাধীন। তার মধ্যে একটি প্রস্তাবে জমি ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তুকোনও চিঠিরই উত্তর রাজ্য সরকার দেয়নি। সমরাদিত্যবাবু ফের হাইকোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, জমি অধিগ্রহণ কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্ম তালিকাভুক্ত। অধিগ্রহণ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আইন করতে পারে। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। না হলে ওই আইনে সম্মতি চেয়ে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। দুই আইনের মধ্যে সঙ্গতির অভাব থাকলে তা ঠিক করতে পারে সংসদ বা বিধানসভা। সংসদ বা বিধানসভা যা করতে পারে বিচারালয় তা পারে না। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে এখানেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সোমবার ফের শুনানি হবে। |
|
|
|
|
|