|
|
|
|
ভারী গাড়ি যাতায়াতের জেরে বেহাল দশা রাস্তার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
মেরামতির অভাবে শোচনীয় অবস্থা জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট থেকে ইছানগরী পর্যম্ত রাস্তাটির। বছর ছ’য়েক আগে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ কিলোমিটার। কিন্তু বছর দুই হল রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি। ফলে পিচ উঠে দু’হাত ছাড়া তৈরি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত।
রাস্তাটির গুরুত্ব অবশ্য যথেষ্ট। এই রাস্তার মাধ্যমেই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে হুগলির যোগাযোগ হয়। এই রাস্তার উপর দিয়ে মুন্সিরহাট থেকে হুগলির ফুরফুরাশরিফ পর্যন্ত ট্রেকার চলাচল করে। কিন্তু রাস্তা বেহাল হওয়ার ফলে যাত্রীদের প্রাণান্তকর পরিস্থিতি। যাতায়াতে অনেকটা বাড়তি সময় লেগে যায়।
জগৎবল্লভপুরের শোভারানি কলেজে যাতায়াত করার জন্য মুন্সিরহাট এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তাটি ব্যবহার করতেন। এতে তাঁদের সময় কম লাগত। কিন্তু রাস্তাটি সাইকেল চলাচলেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ। ফলে তাঁরা অনেকটা পথ ঘুরে বড়গাছিয়া হয়ে কলেজে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, বড়গাছিয়া-জগৎবল্লভপুর রোডটি কোনও কারণে অবরোধ হলে বা চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে মুন্সিরহাট-ইছানগরী রাস্তাটি ব্যবহার করে হুগলি এবং হাওড়ার বিভিন্ন রুটের বাস হাওড়া এবং কলকাতায় যাতায়াত করা যায়। কিন্তু রাস্তার এই দশা হওয়ায় বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের তৈরি কোনও রাস্তায় ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারে না। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে মাটি বোঝাই ভারী লরি নিয়মিত চলাচল করছে। রাস্তাটি বেহাল হয়ে যাওয়ার এটাই মূল কারণ। এখন রাস্তার উপরে পিচের আস্তরণ নেই বললেই চলে। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে কিছু ইট ফেলেছিলেন। কিন্তু সে সব উধাও হয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন মহল থেকে রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামতির দাবি উঠেছে। জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নাদুচরণ বাগ বলেন, “রাস্তাটি মেরামতির দাবি জানিয়ে আমরা বহু বার জেলা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছি। জেলা পরিষদের কর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেছি।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, রাস্তাটি মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি জানান, ওই রাস্তা মেরামতির একটা সমস্যা রয়েছে। তা হল আইন না-মেনে ওই রাস্তার উপর দিয়ে ভারি ট্রাক যাতায়াত করে। ভারী ট্রাক এবং লরি চলাচল বন্ধ করা হলে রাস্তা মেরামত করে লাভ নেই। কাজ শুরুর আগে স্থানীয় বাসিন্দা, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। ভারী ট্রাক চলাচল কী ভাবে বন্ধ করা যায় সেই সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনোর পরেই রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে বলে আনন্দবাবু জানান। |
|
|
|
|
|