|
|
|
|
স্কুল ভোটে সংঘর্ষ |
‘নতুন’ বনাম ‘আদি’ তৃণমূলের লড়াই খানাকুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
রক্তপাত, খুনোখুনি, সংঘর্ষ এ সবের অভিজ্ঞতা খানাকুলের মানুষের কাছে নতুন নয়। বাম জমানায় সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে অহরহ রাজনৈতিক লড়াই দেখেছেন হুগলি জেলার এই এলাকার মানুষ। রাজ্যে এখন নতুন সরকার। তবু রাজনৈতিক উত্তেজনা পিছু ছাড়ছে না খানাকুলের। ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’তে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এ সব ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। সিপিএম ছেড়ে আসা ‘নতুন তৃণমূল’ বনাম ‘আদি তৃণমূল’-এর বোঝাপড়ার অভাবই যার কারণ। এই যুক্তি দলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের।
বুধবার ছিল খানাকুলের কিশোরপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি-সম্পাদক পদের নির্বাচন। একদা সিপিএমের ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত খানাকুলে এখন তারা এতটাই কোণঠাসা, স্কুলভোটে প্রার্থী পর্যন্ত দিতে পারেনি। অভিভাবক প্রতিনিধি পদে ৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থীরা। কিন্তু কে সভাপতি হবেন, কে সম্পাদক তা নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এ দিন মারামারি শুরু হয়ে যায়। জখম হয়েছেন জনা পনেরো। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দলেরই এক গোষ্ঠী। দিবাকর মণ্ডল দলের পুরনো কর্মী। তিনি জানান, ঠিক হয়েছিল দুলাল মণ্ডল হবেন সভাপতি। সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাবেন উত্তম সামন্ত। দিবাকরবাবুর দাবি, স্কুলভবনে সভা শুরুর পরে বাসুদেব সামন্ত, প্রশান্ত সামন্তেরা লাঠিসোঁটা হাতে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন। এঁরা সকলেই আগে সিপিএমের সঙ্গে ছিলেন। সদ্য তৃণমূলে এসেছেন। দিবাকরবাবু জানান, কানাইলাল ভৌমিক এবং সন্তোষ মাইতিকে সভাপতি ও সম্পাদক করতে হবে বলে দাবি ছিল অন্য শিবিরের। এঁরা আবার কারা? তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর দাবি, এঁরা সকলেই এখন তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। কিন্তু আগে ওঠাবসা ছিল বামশিবিরের সঙ্গে। এ দিনের ঘটনায় জখম মদন সামন্ত, স্বপন দেড়ে, দীপঙ্কর বর এবং প্রশান্ত বেরাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, যাঁরা মার খেয়েছেন, সকলেই তৃণমূলের ‘পুরনো’ কর্মী-সমর্থক। বাসুদেববাবুর বক্তব্য, “হামলার অভিযোগ মিথ্যা। স্কুলের উন্নয়নে প্রকৃতই যাঁরা কাজ করতে পারবেন, আমরা তাঁদের বেছেছি।” তাঁর আরও দাবি, কোনও দিনই তিনি সিপিএমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। যাঁদের নাম সভাপতি-সম্পাদক পদের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁরাও বরাবর তৃণমূল করেন।” |
|
|
|
|
|